ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ - ৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

বরেন্দ্রের পানি সঙ্কট মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই

  • আপডেট: Wednesday, September 10, 2025 - 8:22 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বরেন্দ্র অঞ্চলে দিন দিন পানি সঙ্কট বাড়ছেই। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৭টি ইউনিয়ন অতি সঙ্কটাপন্ন এলাকা হয়ে পড়েছে। এই সঙ্কট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনার পাশাপাশি জনসচেতনতার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ দরকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।

বুধবার রাজশাহীতে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ও প্রভাব নিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে কপ-৩০ এ স্থানীয় প্রত্যাশা ও মতামত প্রতিফলন বিষয়ক ডায়ালগে অংশ নিয়ে এমন কথা বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপ-উপাচার্য চৌধুরী সরওয়ার জাহান। বেসরকারি সংস্থা পরিবর্তন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

চৌধুরী সরওয়ার জাহান বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠেছে। সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটা প্রতিবন্ধকতা হলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বেশিদিন থাকতে চান না। তারা শহরের কাছাকাছি চলে যেতে চান। ফলে তারা একটা বিষয় নিয়ে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেন না। আবার জনপ্রতিনিধিরাও এক মেয়াদে আসার পর অনেকেই পরে দায়িত্বে আসতে পারেন না। তাই তারাও ঠিকমতো সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না।

এ অবস্থায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদের বিরোধিতা প্রথমে গবেষক এবং উন্নয়নকর্মীরাই করেছিলেন। তখন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের শত্রু ভাবতে শুরু করে। এখন সমস্যাটা বিএমডিএও অনুধাবন করেছে। তারা এখন গবেষকদের পরামর্শ নিচ্ছে। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলেই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।’

ডায়ালগে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান দীপকেন্দ্রনাথ দাস। পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হাসিবুল হোসেন, মহিলা পরিষদের জেলার সভাপতি কল্পনা রায়, ওয়েবের সভাপতি আঞ্জুমান আরা পারভীন, সদস্য শামীমা সুলতানা মায়া, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি গনেশ মার্ডি ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড় প্রমুখ।