ঢাকা | মে ২১, ২০২৫ - ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

রুয়েটের ৪ শিক্ষক-কর্মকর্তার গুরুদণ্ড

  • আপডেট: Friday, March 7, 2025 - 12:21 am

স্টাফ রিপোর্টার: জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা চার শিক্ষক-কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড দিয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া, আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতা এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুয়েট সিন্ডিকেট।

চারজনের মধ্যে তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যাতের বরখাস্ত করা হয়েছে তারা হলেন- রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও রুয়েটের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিদ্ধার্থ শংকর সাহা, প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডাটা প্রসেসর ও কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি  মহিদুল ইসলাম।

এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক হারুন অর রশিদকেও তার চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়া রুয়েটে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

রুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা, আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগও আছে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

তবে ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বরখাস্ত হওয়া রুয়েট কর্মকর্তা নাঈম রহমান নিবিড় ও মহিদুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ধারালো অস্ত্রসহ রুয়েটের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া ও বোমা হামলায় সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান হয়।

আর শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকরকে জুলাইবিরোধী অবস্থান, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের অবমাননার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। তাকে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন এবং প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র দেন।’

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS