ঢাকা | মে ১, ২০২৪ - ২:১৪ পূর্বাহ্ন

গুমানী নদীর মাটি উজাড়

  • আপডেট: Tuesday, April 16, 2024 - 1:06 pm

অনলাইন ডেস্ক: পাবনার চাটমোহর উপজেলার মৃতপ্রায় গুমানী নদী থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তাঁর নাম কামরুজ্জামান খোকন। তিনি নিমাইচড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁর ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে কয়েকজন। তবে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

এলাকাবাসী জানান, গুমানী নদীর নিমাইচড়া পশ্চিমপাড়া, ধানকুনিয়া মণ্ডলবাড়ী ও মির্জাপুর এলাকায় দিন-রাত মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নায়েব আলী ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন। বিরামহীনভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। এ ছাড়া মাটিবোঝাই ডাম্প ট্রাক ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি গাড়ির চলাচলের কারণে স্থানীয় সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে।

তবে মাটি কাটার কথা স্বীকার করেছেন নিমাইচড়া ইউপি সদস্য নায়েব আলী। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষের স্বার্থে বিভিন্ন গর্ত ভরাট করে দিচ্ছি। কয়েকজন ভাগিদার মিলে গত চার-পাঁচ দিন ধরে এই মাটি কাটছেন। মাটি কাটা বাণিজ্যের সঙ্গে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকনও রয়েছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান খোকন বলেন, ‘মাটি কাটার সঙ্গে নাই বললে ভুল হবে, আছি সহযোগিতায়। গ্রামের কিছু ছোট ভাই কাটছে, কিছু করে খাচ্ছে, আমি তাদের সহযোগিতা করছি এই আরকি। তারা যদি আমার নাম বলে, তাহলে কী করার আছে? আর যেখানে মাটি কাটছে, সেটা গুমানী নদী নয়, ওটাকে বলে বাটা গাঙ।’

এদিকে গুমানী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ও পরিবেশ রক্ষার দাবিতে গত ৪ এপ্রিল চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ‘চলনবিল রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। এটির সদস্যসচিব ও বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘গুমানী নদীতে মাটি কাটা বন্ধের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি, বরং গুমানী নদীতে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। এবার দেখা যাক কী হয়!’

চাটমোহরের ইউএনও মো. রেদুয়ানুল হালিম বলেন, ‘নদী থেকে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

 

সোনালী/ সা