ঢাকা | জুন ৩০, ২০২৫ - ৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

প্রতিরক্ষা শক্তির মাত্র ৫ শতাংশেরও কম ব্যবহার করেছে ইরান

  • আপডেট: Sunday, June 29, 2025 - 7:35 pm

অনলাইন ডেস্ক: ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জানিয়েছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে ইরান তাদের প্রতিরক্ষা শক্তির মোটে ৫ শতাংশেরও কম ব্যবহার করেছে।

আইআরজিসির সমন্বয়বিষয়ক উপ-কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ-রেজা নাগদি শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা হামলায় দেশের প্রতিরক্ষা শক্তির পাঁচ শতাংশেরও কম বাস্তবিক অর্থে সক্রিয় হয়েছে।”

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, “এখানে ‘সক্রিয়’ অর্থ এই নয় যে, সেগুলো ব্যবহৃত হয়েছে বা শেষ হয়ে গেছে। বরং এর মানে, প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর মাত্র পাঁচ শতাংশ শত্রুর মোকাবিলায় যুক্ত হয়েছিল।”

নাগদি বলেন, “এর অর্থ হচ্ছে—আমাদের মূল সামরিক সক্ষমতা এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে সেগুলো ব্যবহারই হয়নি।”

তার ভাষায়, “আমাদের পূর্ণ শক্তির প্রকাশ এখনো বাকি রয়েছে; তা এখনো মঞ্চে ওঠেনি।”

বলিষ্ঠ প্রতিক্রিয়া, সীমিত সম্পদের ব্যবহার

ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ১৩ জুন ইরানে আকস্মিক ও একতরফা হামলা শুরু করলে জবাবে ইরান ব্যাপক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যার মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। এসব হামলা ইসরাইল-অধিকৃত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক, সামরিক ও শিল্প স্থাপনাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বহু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিগুলো—যেখান থেকে মূল হামলা চালানো হয়েছিল—গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা

এদিকে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সামরিক বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, ইরানের পাল্টা হামলা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার THAAD (থাড) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে। সাতটি স্থানে অবস্থান করা থাড ইউনিটের মধ্যে অন্তত দুটি ইউনিট সক্রিয় করা হয়।

আর এই সহায়তা কার্যক্রমে ১২ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

এদিকে জেনারেল নাগদি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটাই ব্যবহৃত হয়েছে বেশি। তবে আমাদের প্রকৃত শক্তি আমাদের স্থলবাহিনীতে নিহিত।”

তিনি বলেন, “আমরা সজ্জিত এবং প্রস্তুত। চাইলে আমরা আরও কয়েক বছর এই গতিতে শত্রুকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লক্ষ্যবস্তু করতে পারি।”

ইরানি জেনারেল ইঙ্গিত দেন, ইরান যদি সত্যিকারের পূর্ণমাত্রার সামরিক জবাব দিতে চায়, তাহলে এর ব্যাপ্তি এবং ধ্বংসক্ষমতা হবে আরও অনেকগুণ বেশি।সূত্র: মেহের নিউজ

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS