মুন্সীগঞ্জে রোজার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে

অনলাইন ডেস্ক : জেলার রোজার বাজারে এবার স্বস্তি ফিরেছে ।বাজার মনিটরিং কমিটি বাজার মনিটরিং করায় দ্রব্য মূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বৃদ্বি পাওয়ায় মূল্য কমে আসছে ।
বিগত বছরের তুলনায় রোজার শুরুতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্বি পায়নি।পবিত্র মাহে রমজানের ইফতারে অবশ্যকীয় ফল খেজুরের বাজার বিক্রয় মূল্য বিগত বছরের তুলনায় এবছর সবচেয়ে কম। শাক সবজির মূল্যও রয়েছে স্থিতিশীল।বিভিন্ন জাতের মুরগির দামও কমেছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
শনিবার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , পবিত্র মাহে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ক্রয় সীমার মধ্যে থাকায় মধ্যবিত্তরা স্বস্তির নিঃশাস ফেলছে। ক্রেতারা স্বস্তিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয় করছে। পবিত্র মাহে রমজানের ইফতারে অবশ্যকীয় পণ্য খেজুরের মূল্য এবছর গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক কম।মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের মূল্য ৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ফল বিক্রেতা জামাল হোসেন জানান, দাবাস জাতের খেজুর ৪৫০টাকা, মরিয়ম-১১৫০ টাকা আজোয়া-১২০০টাকা, সিনওয়ান-৬৫০ টাকা, আপেল-৩০০ টাকা, মালটা-২৮০ টাকা, আংগুর-৫০০ টাকা, বরই-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।প্রতি কেজি বেগুন ( চিকন)-৪০ টাকা এবং বেগুন (মোটা)-৮০ টাকা, শসা-৭০ টাকা, লেবু ( হালি )-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । গত এক সপ্তাহে মুরগির দাম কমে বয়লার মুরগি-১৯০ টাকা, কক-২৪০ টাকা, সোনালী-২৪০ টাকায় এবং গরুর মাংস প্রতিকেজি-৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস জানান, ছোলা, চিনি, আদা, পেঁয়াজ , রসুন ও ডালের দাম গত এক মাসের চেয়ে কমে এসেছে।মুসরির ডাল কেজি ১৫০ টাকা, মুগডাল কেজি ১৭০ টাকা, খেসারী ডাল কেজি ১২০ টাকায়, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, দেশী ঁেপয়াজ-৪৫ টাকা পাকিস্তানি ঁেপয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বৃদ্বি পাওয়ায় মূল্য কমে আসছে।প্রতি ২লিটার তেলের বোতলের দাম রয়েছে ৪০০ টাকা।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এদাম আরো কমে আসবে। বাজারে চাল, আটা, ময়দাও গুড়ো দুধের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
সূত্র: বাসস