ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৫:৩৩ অপরাহ্ন

মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে মেরেই ফেলল শিক্ষক

  • আপডেট: Monday, August 28, 2023 - 2:00 am

অনলাইন ডেস্ক: খাগড়াছড়িতে এক মাদ্রাসাছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে একই মাদ্রাসার এক শিক্ষক।

নিহত শিশু ছাত্রটির নাম মো. আবদুর রহমান আবির (৭)। তার মুখ থেকে সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হলে শিশুটির মৃত্যু হয়।

এর আগে কোনো এক সময় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আবির খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার আইয়ুব মেম্বারপাড়া এলাকার মো. সরোয়ারের ছেলে।

সে জেলা সদরের ভূয়াছড়ি এলাকার বায়তুন আমান কমপ্লেক্সের হেফজ বিভাগের ছাত্র।

এদিকে ঘটনার পরপর অভিযুক্ত হেফজখানার হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম হাসপাতালে আবিরের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে হাফেজ আমিনুল ইসলাম শিশু আবিরকে নির্যাতন করে আসছিলেন। রোববার বিকেলেও তাকে নির্যাতন করেন।

এতে আবির বমি করলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর তিনি পালিয়ে যান।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শ্বাশতি দাশ জানান, মুখসহ পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বায়তুন আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুর রহমান বলেন, ‘খবরটি পেয়ে আমি হাসপাতালে এসে শুনি আবির মারা গেছে। এখন তাকে কতটুকু নির্যাতন করা হয়েছে সে সম্পর্কে আমি জানি না ‘

এদিকে পরিবার এবং মাদ্রাসার একাধিক ছাত্র আমিনুল ইসলামের নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

নিহত আবিরের খালু নুরুল ইসলাম মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার সন্তানও ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। সে জানায় শিশু আবিরকে প্রায়ই জর্দা খেতে দিত।

খেয়ে বমি করলে বেদম মারধর করতো। এমনি একবার তাকে দানবাক্সে ঢুকিয়ে তালা মেরে রাখে। অনেক পরে তাকে বের করে।’

খাগড়াছড়ি সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শিশুটির মুখ থেকে পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

সোনালী/জেআর