গোদাগাড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যা দিনাজপুরে ৭ আসামি গ্রেপ্তার

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চাঞ্চল্যকর ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলামসহ এজাহারভুক্ত ৭ আসামিকে দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে (র্যাব)-৫। গ্রেপ্তারকৃতদের গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত মনিরুল ইসলাম (৪৭) পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ৬ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে জমিজমা সংক্রান্ত কাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে গোদাগাড়ী থানাধীন আইহাই গ্রামের সাগরা মোড়ে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে ও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার আসামিরা তার পথরোধ করে।
এসময় তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করলে মনিরুল প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে আসামিরা লোহার হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মনিরুলের মাথা, হাত, পিঠ ও বুকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত ও মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় মনিরুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে।
আসামিরা আত্মগোপনে থাকার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিলেও র্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহীর একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে। এর ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রাত ১২টা ৫ মিনিটে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন দাউদপুর ইউনিয়নের হায়াতপুর পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলামসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- আশরাফুল ইসলাম (৬০), মফিজুল ইসলাম (৫০), সাদ্দাম হোসেন (৩৭), আকবর আলী (২৮), বাবর আলী (১৯), হানিফ (২৯), রমজান আলী (২০)। তাদের সবার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহতের পরিবার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।