ঢাকা | এপ্রিল ১৯, ২০২৫ - ২:২৮ অপরাহ্ন

প্রতারণার মামলায় রুয়েট কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

  • আপডেট: Thursday, April 10, 2025 - 11:15 pm

স্টাফ রিপোর্টার: চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার মামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মানিকুজ্জামান মানিক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর মালোপাড়া হার্ডওয়ার পট্টি থেকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হাসান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মানিকুজ্জামান মানিককে আজ শুক্রবার জেল হাজতে পাঠানো হবে। মামলা দায়েরের পর থেকেই মানিকুজ্জামান মানিক গাঁ ঢাকা দিয়ে ছিলেন। এর আগে ২৬ মার্চ শুক্রবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন রানীনগর সাধুর মোড় এলাকার শহিদুল হাসান শাহির স্ত্রী তামান্না ইয়াসমিন।

মামলায় তামান্না অভিযোগ করেন, মানিক ও মুন তাদের এলাকায় বসবাস করেন। এ কারণে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগে তারা রুয়েটে চাকরি দেয়ার নামে ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। দিনের পর দিন ঘুরিয়েও তারা টাকা ফেরত দেননি।

এজাহারে বলা হয়, মানিক ও মুন বাদী তামান্নার মা নওবাহার খাতুন ও তার স্বামী শাহীকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে চাকরি পেতে হলে টাকা দিতে হবে বলে তারা জানান। সরল বিশ্বাসে তামান্না ইয়াসমিন ২০২২ সালের ৯ মার্চ ৪ লাখ ও ১৬ মার্চ ১ লাখ টাকা দেন দুই ভাইকে। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তারা চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরত দেননি। আসামিরা ২০২২ সালের ২ জুন আশরাফ উজ জামান নামের অপর এক ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রির কথা বলে ৬ লাখ টাকা নেন। এই ব্যক্তিকে জমিও দেওয়া হয়নি, টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি।

এছাড়া গত বছরের ১০ জানুয়ারি সঞ্জু নামের আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের বিপরীতে ৬ লাখ টাকা এবং ২৯ ডিসেম্বর মামুনুর রশিদ নামের আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে চেকের বিপরীতে ১ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। অভিযুক্ত মানিক ও মুন মোট ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, প্রত্যেকেই দুই ভাইয়ের কাছে টাকা ফেরত চাইলেও কাউকেই দেওয়া হয়নি। ইদানিং টাকা না দিয়ে পাওনাদারদের হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছিলেন দুই ভাই। হুমকি-ধমকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় গত ১০ মার্চ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা আদায় করতে না পারে এই মামলা দায়ের করেন তামান্না ইয়াসমীন।