ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৫ - ৪:২১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সতর্ক করছি, নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান

  • আপডেট: Tuesday, February 25, 2025 - 10:06 pm

সোনালী ডেস্ক: যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা-ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, আমি আজ বলে দিলাম। নইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। আমার অন্য কোনো আকাঙক্ষা নাই। আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন-এইট মান্থস। আই হ্যাড এনাফ।

অস্থিতিশীলতার পেছনে কিছু কারণ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি চাই দেশ ও জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসব। আরেকটা জরুরি বিষয় যেটা ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণটা হচ্ছে আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য।

ঐক্যবদ্ধতার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি; তারা খুব ভালোভাবেই জানে যে এই সময়ে যদি এসব অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে। আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্র থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। সেনাপ্রধান বলেন, আজ পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ তাদের অনেকেই জেলে। র‌্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব? একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি আমরা, অপরাধীরা এর সুযোগ নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই౼ এগুলো দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে অতীতে। খারাপ কাজের সঙ্গে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজ যে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে যে এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে এই সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনাসদস্য, অসামরিক-সামরিক সবাই মিলে এই অরগানাইজেশনগুলোকে এফেক্টিভ রেখেছে। সে জন্য আজ এত দিন ধরে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। বাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি অপরাধ করে থাকে, সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। না হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে আমরা এমনভাবে কাজটা করব, এসব অরগানাইজেশন যেন আন্ডারমাইন্ড না হয়।