ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৫ - ৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

ভারতের চার প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট: Tuesday, February 25, 2025 - 10:00 pm

সোনালী ডেস্ক: ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানে পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

মার্কিন সরকারের বিদেশি সম্পদবিষয়ক অফিস ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ওই চার প্রতিষ্ঠান হলো ফ্লুক্স মেরিটাইম এলএলপি, বিএসএম মেরিন এলএলপি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও কসমস লাইনস ইনকরপোরেশন। এই চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কসমস লাইনস ইনকরপোরেশনকে ইরানের পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানের জ্বালানি তেল ও পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনকারী বিভিন্ন নৌযানের বাণিজ্যিক অথবা কারিগরি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, নিজেদের জ্বালানি তেলের বিক্রি বাড়ানো এবং অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে নৌযান, পরিবহনকারী এবং মধ্যস্থতাকারীদের একটি গোপন নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে যাচ্ছে ইরান। স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহব্যবস্থার সব ক্ষেত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে নিজেদের সব সরঞ্জাম কাজে লাগাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যারা ইরানের তেল নিয়ে কাজ করবে, তারাও নিষেধাজ্ঞার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ, তেহরানের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান সরাসরি ইরানের তেল কেনে না।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞার পরও ইরানের জ্বালানি তেল–বাণিজ্য চলছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরানের তেল পরিবহনকারী ট্যাংকারগুলো বন্দর এলাকার বাইরে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকা নৌযানে তেল সরবরাহ করছে। পরে ওই তেল বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ইরানের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পেছনে এ তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্র্রণালয় গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত থাকার অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির প্রধান এবং ইরানিয়ান অয়েল টার্মিনালস কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপর আমদানি বা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা, তাদের সম্পদ জব্দ করা এবং এক বা একাধিক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও মুদ্রা ব্যবহারে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বর্তমানে সবচেয়ে বড় পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশ হলো রাশিয়া। তিন বছর আগে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর মস্কোর ওপর একরাশ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় ওয়াশিংটন। এ ছাড়া ইরান, উত্তর কোরিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।