ঢাকা | জানুয়ারী ২১, ২০২৫ - ৪:৩২ পূর্বাহ্ন

চিরকুট লিখে গুরুদাসপুরে ১৪টি শিল্প মিটার চুরি

  • আপডেট: Monday, January 20, 2025 - 8:55 pm

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে নতুন করে ১৪টি বৈদ্যুতিক শিল্প মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাণিজ্যিক এলাকার বিভিন্ন ‘স’ মিল, ওয়ার্কশপ, রাইসমিল, আইসক্রিম মিল থেকে ওই মিটারগুলো চুরি করে।

একের পর এক চুরি হলেও ধরা ছোয়ার বাইরেই থাকছে ওই চোর চক্র।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আল মামুন, আলাল উদ্দিন, শামীম হোসেন, জামাল আলী, ভাদু সরকার, মহাতাব সরকার, আতিক হোসেন, তাজ সরকার, মোস্তফা, ময়েন উদ্দিন, মহাসিন ও আমিরুল সরদার সহ ১৪ জনের শিল্প মিটার চুরি হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো থেকে মিটার খুলে নেয়ার পর পাশেই চিরকুটে চোরের দেয়া মোবাইল নম্বর ঝুলানো।

সেখানে লেখা চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ০১৮৫৬৬৬৫৪৯২ নাম্বারে কল করুন। পরবর্তীতে ওই নাম্বারে কল করলে মিটার প্রতি ৫ হাজার টাকা বিকাশে চাওয়া হয়। বিকাশ করলেই নির্দিষ্ট স্থানে মিটার রেখে যাচ্ছে চোর চক্র।

ভুক্তভোগী জামাল হোসেন বলেন, চোরের বিকাশ নাম্বারে ৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার পর মামুন সরকারের দুটি, আলামিন, মালেক সরকার ও হাফিজুল ইসলামের মিটার চোরের দেয়া নির্ধারিত স্থান থেকে ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু আমার মিটারের টাকা বিকাশ করলেও দেয়া হয়নি। আমার মিটারের সাথে আরো দুজনের মিটার লুকানো আছে।

ওই দুজনের টাকা পেলে তিনজনের মিটারই ফেরত দিবে বলে জানিয়েছে। থানায় অভিযোগ প্রসঙ্গে আরেক ভুক্তভোগী মহাতাব সরকার জানান, এর আগেও চুরি যাওয়া মিটার ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ দেই। কিন্তু কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে চোরের সাথে সমঝোতা করে মিটার ফিরে পেতে চেষ্টা করছি। এদিকে বিদ্যুৎ অফিসের মাধ্যমে নতুন মিটার সংযোগ পেতে সময় ও অর্থ দুটোই ব্যয় হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হন।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, গ্রাহকদের মিটারে খাঁচা লাগানোর নির্দেশনা দিলেও কেউ মানছেন না। ইতিপূর্বেও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মিটার চুরি হওয়ার পর গ্রাহকের টনক নড়ে।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বিপ্লব কুমার সরকার দুঃখ প্রকাশ করে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন এবং এ ব্যাপারে সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মিটার চুরির খবর শুনেছি। কিন্তু অভিযোগ পাইনি। তারপরেও চোর ধরতে ও মিটার উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।