ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৩:৩১ অপরাহ্ন

জিডিপির চেয়ে যাদের ঋণ বেশি তারাই বিপদে: অর্থমন্ত্রী

  • আপডেট: Thursday, April 7, 2022 - 7:59 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: জিডিপির তুলনায় যাদের ঋণ বেশি তারা বিপদে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, সারা বিশ^ এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে। যাদের জিডিপির তুলনায় ঋণ বেশি তারা বিপদে আছে। আমাদের জিডিপি ঋণের তুলনায় বেশি। আমাদের অর্থনীতি অনেক ভালো এবং শক্তিশালী অবস্থানে আছে। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো অবস্থানে যাবে। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে থাকলেও শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে কেন? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যে কেউ আলোচনা করতে পারে। তবে এটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমাদের রেভিনিউ বাড়ছে, রফতানি বাড়ছে মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবুও শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমি এটা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন দেখছিনা।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু এ অর্থবছরের শেষের দিকে অর্থাৎ জুনে খুলে দেয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। বর্তমান বিশ্ব অস্বাভাবিক একটি মূহুর্ত পার করছে। যুদ্ধের কারণে কোন দেশ কোন বিষয়ে কমিটমেন্ট করছে না। তবুওআমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু খুলে দিতে পারব।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোরিয়া ও চীনের দুই কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তাদের নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে যে ব্যয় করা হয়েছে তা টোল বাবদ আদায় করা হবে। আমরা যা খরচ করেছি তার চেয়ে বেশি লাভ করতে পারব। বিশ্বের অনেক দেশ এটা করে থাকে। রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে অন্যান্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সেটা আদায় করতে না পারলে আগাতে পারব না। যারা সেতু ব্যবহার করবে তারাও লাভবান হবে সরকারও লাভবান হবে।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন ( কেইসি) এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ( এমবিইসি) ৫ বছর মেয়াদে ৬৯২ কোটি ৯ লাখ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১০ম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয়-কমিটির অনুমোদিত ১১টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৫,৭৮২ কোটি ৬২লাখ ১১ হাজার ২৭ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৯৭৯ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার ৯২ টাকা এবং বাকী টাকা দেশীয় ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক অব চায়না ঋণ দিবে।