ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

নগরীতে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

  • আপডেট: Wednesday, June 26, 2024 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২৫ জুন রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মামলার বিবাদী আব্দুস সাত্তার রানা (৩৪) ও ফালাক (২৮) এমনটাই দাবি করেছেন।

সম্পর্কে তারা দুই ভাই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত মামলার প্রথম সাক্ষী কামরুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে মামলার বাদি রশিদ কোরাইশীকে দিয়ে এমনটা করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দুই ভাই।

বিবাদিরা মামলাটিকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে এর থেকে রেহাই পেতে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলার পেছনের রহস্য ও প্রকৃত ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তুলে ধরেন। থানায় দায়েরকৃত মামলাটির নম্বর ১৯।

মামলার বিবাদি আব্দুস সাত্তার রানা ও ফালাক জানান, শিরোইল কলোনী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা কামরুল ইসলাম পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রায় ১২ কাঠা জমি নিজ দখলে নিয়ে সেখানে একটি কারখানা স্থাপন করেন। সরকারি জমি দখলে নিয়ে কারখানা নির্মাণে বাধা দেয়া ছাড়াও রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি শাখাতে রানা বাদি হয়ে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকার গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ করেন। এনিয়ে দেশের জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়।

রানা ও ফালাক দাবি করেন, কামরুলের দখলে থাকা রেলওয়ের ১২ কাঠা জমি হাতছাড়া হয়ে যাবে বিধায় তিনি আমাদের দেখে নেয়ার ভয়-ভীতি দেখান। আমাদের দুই ভাইকে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ফন্দি ও পরিকল্পনা শুরু করেন কামরুল। তার অংশ হিসেবেই তিনি রশিদ কোরাইশীকে দিয়ে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করিয়েছেন।

রানা জানান, শিরোইল কলোনী ৪ নম্বর গলি এলাকার ৭২০ ও ৭২১ দাগে প্রায় আড়াই কাঠা জমি কেনেন মামলার বাদি হাজরাপুকুর এলাকার রশিদ কোরাইশী। তবে জমিটি কিনলেও তিনি দখলে নিতে পারেননি। পরে বর্তমান দখলদারদের কাছে রশিদ কোরাইশী জমিটি বিক্রির সম্মতি জানান। তবে তার খতিয়ানের জমি বাদেও পাশেই দেড় কাঠা জমি সরকারি খাস খতিয়ানে থেকে যায়। এনিয়ে আপত্তি তোলেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে রশিদ কোরাইশী বাক বিতণ্ডায় জড়ান। তিনি নিজের জমি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে পাশের সরকারি জমিটিও দখল নেয়ার চেষ্টা চালান। রশিদের এমন কর্মকাণ্ড দেখে স্থানীয়রা তাকে মৌখিকভাবে নিষেধ করে। তবে তিনি সকলের কথা উপেক্ষা করে খাস জমিটি দখলে নেয়ার কৌশল অব্যাহত রাখেন।

তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন কামরুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমার কোন ধরনের সম্পর্ক বা বিরোধ নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমি ষড়যন্ত্র বা মামলা দায়ের করাতে যাবো কেন? আমি তো মামলার বাদি নই। বাদি অন্য কেউ। মামলার সাক্ষী করতেই পারে। ওরা যাদের কাছে চাঁদা নিতে গেছে, ঝামেলা করতে গেছে তারা এসব বুঝবে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পুুরোপুরি মিথ্যা। আর মামলা সত্য না মিথ্যা সেটি আদালত দেখবেন। মিথ্যা মামলা খারিজ হবে, সত্য হলে সেটি আইন দেখবে। এসবের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলমকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।