ভূমিসেবায় স্মার্ট নাগরিক তৈরির প্রয়াসে পবায় ‘ভূমির পাঠশালা’র যাত্রা শুরু
স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে ভূমি সেবা সপ্তাহে স্মার্ট নাগরিক তৈরির প্রয়াসে নির্মিত ‘ভূমির পাঠশালা’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আয়োজিত জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘ভূমির পাঠশালা’র উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এরপর, ‘ভূমির পাঠশালা’য় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভূমি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে ‘ভূমির পাঠশালা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার। তিনি জানান, ‘ভূমির পাঠশালা’ ভূমি সেবা সপ্তাহের একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ।
যার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- জনগণকে ভূমি সংক্রান্ত সামগ্রিক জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘ভূমি নিয়ে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টির শুরু থেকেই। বাংলাদেশে অধিকাংশ পরিবারেই ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। অপরদিকে এই ভূমি নিয়েই মানুষের জ্ঞানচর্চা সবচেয়ে কম। তাই ‘ভূমির পাঠশালা’ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানা তিনি।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্যে ‘ভূমির পাঠশালা’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ রোডম্যাপের চারটি পিলার- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গর্ভন্যান্স।
এই চারটি পিলারের মধ্যে স্মার্ট নাগরিক এমন একটি পিলার যা মজবুত না হলে অন্য তিনটি পিলার হবে ভঙ্গুর, প্রকারান্তরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে দুরূহ ও অসম্ভব এক ব্যাপার।
এজন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রথম এবং প্রধান শর্ত স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমি বিষয়ক জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলবে ‘ভূমির পাঠশালা’।’