ফেসবুকে সুইসাইড নোট, পুলিশ গিয়ে দেখে আড্ডা দিচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থী
অনলাইন ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্কে ভাটা পড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে পোস্ট দেন। নোটটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে নজরে পরে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের।
তাৎক্ষণিক পুলিশের মোবাইল টিম ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় দিব্যি সুস্থ ওই শিক্ষার্থী। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলা শহরের ৭নং ওয়ার্ডের ভবানিপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখেন ফেরদৌস নাঈমের ওই ঢাবি শিক্ষার্থী। ভবানিপুর এলাকার মৃত গোলাম ফয়েজের ছেলে তিনি।
ঘটনার বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো.রেজাউল করিম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সুইসাইড নোটটি আমার নজরে এলে আমি তাৎক্ষণিক পুলিশের মোবাইল টিম ছেলেটির বাড়িতে পাঠেই।
সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় ছেলেটি দিব্যি সুস্থ, তিনি তার মা ও আত্মীয়দের সঙ্গে বাড়িতে গল্প করছিলেন। ছেলেটি মজা করেই ফেসবুকে সুইসাইড নোটটি লিখেছে। তাকে মানসিকভাবে একটু অসুস্থ মনে হয়েছে। ’
ভাইরাল হওয়া ফেরদৌস নাঈমের সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমি ফেরদৌস নাঈম, এনআইডি নং……,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নং….। সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমার ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্কের ঝামেলা/সংকট মোকাবিলায় আপনারা স্ব-প্রণোদিত হয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং একইসঙ্গে ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ, আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপনাদের অপমানিত ও লজ্জিত হতে হয়েছে।
ফেরদৌস আরও লিখেছেন, ‘আমার বিধবা মাকে যেই মেয়ে (অশ্লীল ভাষা) বলে গালিগালাজ করেছে এবং আমার মায়ের সম্মানহানি হয় এমন কথা বলেছে সেই মেয়ের বিচার আপনারা না করলেও আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু মৃত বেলাল ফয়েজের সন্তান হিসেবে এই বিচার আমি করব। আমার মৃত্যু হলে কবরটা যেন আমার বাবার কবরেই হয় এই শেষ অনুরোধ। ’
নোটের নিচে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এক সেট ব্লেড যেটা দিয়ে সবেমাত্র হাত কাটছি। আরেক সেট আমার বাসায় লুকানো আছে। ’
সোনালী/জেআর