ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৩:৫১ অপরাহ্ন

রাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

  • আপডেট: Tuesday, February 27, 2024 - 9:59 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার জেরে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন।

মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলকের সামনে এক প্রতিবাদী কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

কর্মসূচিতে তারা ‘অমর্ত্য-ঋদ্ধ বহিষ্কার কেন?’, ‘ নীতিবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ বাতিল কর’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর’, ‘আজ্ঞাবহ প্রশাসন চাই না’, ‘অমর্ত্য রায় বহিষ্কার কেন?’,’অমর্ত্য-ঋদ্ধের বহিষ্কারাদেশ বাতিল কর’, ‘ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বহিষ্কার কেন?,’মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই’ বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এ বিষয়ে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি পরিমাণ আজ্ঞাবহ হলে তড়িৎ গতিতে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দুইজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল ধর্ষণ এসবের বিরুদ্ধে তারা কথা বলে।

সেই জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তাদের উপর ক্ষোভ আছে, সেই সূত্র ধরেই তাদেরকে এই দায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের ছাত্ররা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা কাল্টে পরিণত করেছে এবং এই কাল্ট মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে , যাতে কেউ কথা না বলতে পারে। কন্ঠ রোধ করার জন্য যেই ব্যবস্থা, সেটা এই রাষ্ট্র এই বিশ্ববিদ্যালয় করে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ভালো মন্দ বুঝে না, তারা বুঝে শুধু লুটপাট করতে।

সামাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতা। তাকে আমরা দোষে- গুণে দেখি। তার যে বীরত্ব রয়েছে সেগুলো আমরা স্বীকার করি। তার যদি সমালোচনা করার জায়গা থাকে তাহলে সেটা নিয়ে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে তাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যেন তিনি ঈশ্বর। বর্তমান রাষ্ট্র এমন একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছে যেন প্রতিবাদ করার মেরুদণ্ড ভেঙে যায়।

যার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ আমাদের উপর চেপে বসে। পুরাতন গ্রাফিতি মুছে ফেলে নতুন গ্রাফিতি তৈরী করা হবে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি। কিন্ত জাবি প্রশাসন সরকারের দালালী করে মিথ্যা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। সমাপনী বক্তব্যে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এমন জায়গায় দাড়িয়েছে যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। আছে শুধু দলীয় আনুগত্য করার স্বাধীনতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে । বৃদ্ধি পাচ্ছে দলীয় আনুগত্য করার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রো- ভিসি ২১শে ফেব্রুয়ারী ছাত্রলীগের সাথে ফুলের ডালা নিয়ে শহীদ মিনারে যায়।

এটা কেমন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের ডালা হাতে দাড়িয়ে থাকে। আমরা এ ধরণের স্বাধীনতা চাই না। আমরা চাই সাম্যের স্বাধীনতা। শিক্ষার্থীদের কন্ঠরোধ করলে এটা বিস্ফোরণে পরিণত হবে। কর্মসূচিতে সমাজতন্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবি ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র যুব গণমঞ্চ, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী/জেআর