ঢাকা | মে ১৭, ২০২৪ - ১২:৩৩ অপরাহ্ন

অল্পের জন্য বখাটেদের দলবদ্ধ ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেলেন তরুণী

  • আপডেট: Friday, June 2, 2023 - 12:00 am

অনলাইন ডেস্ক: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অল্পের জন্য দলবদ্ধ ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেয়েছেন অপহরণ হওয়া ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় রেদোয়ান ইসলাম নাহিদ (১৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার আদিতমারী থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটক রেদোয়ান ইসলাম নাহিদ লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি মাষ্টারপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে। অভিযোগে অন্য অভিযুক্ত হলেন, একই গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে সাকিল (১৮), তার বন্ধু একই গ্রামের শিমুল ও রাসেল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কালমাটি মাষ্টারপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে সাকিল পাশ্ববর্তি আদিতমারী উপজেলার ভাদাই দক্ষিণ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন।

স্কুল যাওয়া আসার পথে প্রায় ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত করে আসছিল সাকিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক ভাবে জানানো হলেও আচরন পরিবর্তন করেনি সাকিল। বুধবার(৩১ মে) রাত ৯টার দিকে পাশে চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল ওই স্কুলছাত্রী।

এ সময় বাড়ির গেটে থাকা সাকিল এবং তার বন্ধু নাহিদ, শিমুল ও রাসেল মুখ চেপে ধরে জোর করে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সবাই মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এরই মাঝে মেয়ের খবর না পেয়ে খুজতে বের হন ওই ছাত্রীর মা। বিষয়টি বুঝতে পেয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেলেও স্থানীয়দের হাতে আটক হন নাহিদ। পরে শরীরের অসংখ্য কামড় ও আঘাতের চিহ্ণসহ রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবার।

রাতেই খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ নির্যাতিত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে স্থানীয়রা আটক নাহিদকে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পরিবার বৃহস্পতিবার সাকিল ও আটক নাহিদসহ ৪জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাশের বাড়িতে সাড়া দিলেও বাড়ি না পৌছায় তাৎক্ষণিক মেয়ের খোজে বের হন তার মা। এতে লম্পটরা ধরা খাওয়ার ভয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।

অল্পের জন্য মেয়েটি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। বাকী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সোনালী জেআর