‘কালীধর লাপাতা’ দিয়ে কি ঘুরবে অভিষেক বচ্চনের ভাগ্য?

ছেলের জন্য অমিতাভের প্রার্থনা
অনলাইন ডেস্ক: বাবা অমিতাভ বচ্চনকে বলা হয় বলিউডের ‘বিগ বি’। কিন্তু ছেলে অভিষেক বচ্চন যেন বাবার ছিটেফোঁটাও পাননি। বাবার মতো গর্জে ওঠা সমুদ্র হওয়া তো দূরের কথা, খালের শান্ত স্রোতও হতে পারেননি। অবশ্য চেষ্টা যে করেননি তা কিন্তু নয়।
তাই বলা যায়, একক সাফল্যের ক্ষেত্রে অমিতাভ পুত্রের পথচলা শূন্য। বাবা অবশ্য সেভাবে ছেলের জন্য লোকের দ্বারে ঘোরেননি। ক্যারিয়ার গড়ার কাজটি ছেলের হাতেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু দেখলেন, শূন্য হাতেই ছেলে ঘরে ফিরেছে। তাই এবার আর চুপ থাকতে পারেননি। ছেলে অভিষেকের জন্য প্রার্থনা করেছেন অমিতাভ। দিচ্ছেন মিডিয়ায় বক্তব্য। শিগ্গির অভিষেকের নতুন একটি সিনেমা মুক্তি পাবে। আর সেটা নিয়ে মন্তব্য করেছেন অমিতাভ।
বলেছেন ‘ক্যারিয়ারের যেন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে অভিষেকের। সিনেমার নাম ‘কালীধর লাপাতা’। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এ সিনেমা অফিসিয়াল ট্রেলার। ৪ জুলাই এটি জি ফাইভ ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে। সিনেমাটি মূলত তামিল ‘কেডি’র অফিসিয়াল রিমেক।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেছিলেন, ‘অভিনেতা হিসাবে আমরা প্রায়ই এমন গল্প আশা করি যা শুধু আমাদের নয়, দর্শকদেরও নাড়িয়ে দেবে। এ সিনেমাটি একেবারেই তেমন। এমন একটি সিনেমায় অভিনয় করা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
এ সিনেমার পর অভিষেকের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা আরও একটি সিনেমায়ও একটি ভিন্ন চরিত্রে হাজির হচ্ছেন বলে অমিতাভ জানান। অর্থাৎ ছেলের হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন বাবা। পরপর সিনেমায় এ রকম ভিন্ন চরিত্র বেছে নেওয়ার জন্য অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমিতাভ বচ্চন।
এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রার্থনা করি অভিষেক, তোমার বিভিন্ন চরিত্র এবং সিনেমা বেছে নেওয়ার ক্ষমতা, আরও সফল হওয়ার ক্ষমতা, খুবই বিরল গুণ। ভালোবাসা ও আশীর্বাদ রইল।’
যদিও বাবার এমন প্রশংসা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলেছেন, অমিতাভ যদি ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অভিষেকের জন্য এভাবে প্রচারণায় নামতেন তাহলে সে হয়তো কিছু একটা হতে পারত।’ আবারও কেউ বলেছেন, ‘যতই চেষ্টা করুক, অভিষেক আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না।’
এদিকে ‘কালীধর লাপাতা’ সিনেমায় অভিষেক কালীধর নামের এক মধ্যবয়সি ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি মাঝেমধ্যেই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। একদিন তিনি নিজের ভাইবোনের নিষ্ঠুর পরিকল্পনার কথা শুনতে পান এবং আত্মরক্ষার্থে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
এরপর এক ৮ বছর বয়সি শিশুর সঙ্গে তার দেখা হয়, যে কালীধরকে আবারও বাঁচতে শেখায়। সিনেমাটি কমার্শিয়াল ঘরানার না হলেও এটি অভিষেককে নিয়ে দর্শকদের ভাবাবে বলেই অমিতাভের অভিমত।