আওয়ামী লীগ খারাপ, তাদের আমরা দলে নেব না ———– মির্জা ফখরুল

সোনালী ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে বলেছেন, ‘আজকে যে সদস্য নবায়ন করা হচ্ছে, সেখানে যেন কোনো আওয়ামী লীগ না থাকে। কারণ এটা প্রমাণিত, আওয়ামী লীগ খারাপ, তারা ডাকাত, মাফিয়া, দখলদার।
তাদের আমরা দলে নেব না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে অর্থাৎ আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ করে নাই, কোনো রাজনীতি করে নাই, ভালো মানুষ, তাকে দরকার, তাকে অবশ্যই দলে আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে।’
গতকাল বুধবার দুপুরে উত্তরায় বিএনপির সদস্য নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ভোট কারচুপি করবে না এবং আইন ভঙ্গ করবে না বিএনপি।
বিএনপি জনগণের অধিকার হরণ করে নয়, বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইবে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় ভোটকেন্দ্রে কেউ যেতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই, তার ভোট দেয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা এটি চাই না। আমরা নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম, যাতে সবাই তার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই কথা বলেছেন যে মানুষকে শাসিয়ে বা তাদের অধিকার হরণ করে ভোট পাওয়া যাবে না; বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইতে হবে। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন, ‘একটি ফ্যাসিবাদী সরকার ১৫ বছর ধরে আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে।
নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যা করেছে, আমরা এসব কিছুই করব না। আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা যেন সবার অধিকার রক্ষা করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের বিচক্ষণতার প্রশংসা ও ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে লন্ডনের বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলেছিলাম আর ইউনূস সাহেব বলেছিলেন এপ্রিলে। এখানে এক প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু তারেক রহমানের বিচক্ষণতা দেখেন, তিনি দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন, যাতে কোনো বিপদ না আসে। এমন বিচক্ষণ নেতা খুব কমই আছে।
তারেক রহমান ও ড. ইউনূসকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’ অনুষ্ঠানে নিজের বয়স এবং দলের তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বয়স হয়েছে। যে কারণে বক্তব্য শুরু করতে আমার সময় লেগেছে। তার মানে, আমাদের বয়স হওয়ায় কর্মক্ষমতা কমে গেছে। তাই আমাদের জায়গায় তরুণদের আসতে হবে, তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে হবে।’ তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে ও থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।