ঢাকা | জুন ৭, ২০২৫ - ১:৫৭ পূর্বাহ্ন

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ সম্বন্ধে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে

  • আপডেট: Wednesday, June 4, 2025 - 6:02 pm

অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ নিয়ে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

নতুন অধ্যাদেশটিতে আনীত সংশোধনীর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যম নিউজ করেছে যা শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠানগুলো।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। বরং ২০১৮ ও ২০২২ সালের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার যে বিকৃতি করা হয়েছে, তার সংশোধন করে ১৯৭২ সালের তৎকালীন সরকারের নির্ধারিত সংজ্ঞায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

ফারুক ই আজম আরো জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী-সবার মর্যাদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে গতকাল রাতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সরাসরি যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি তাঁদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হয়েছে। তবে মুজিবনগর সরকার, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসকদের সহায়কদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

গেজেটটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশের বরাত দিয়ে শেখ মুজিব, জাতীয় চার নেতাসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সরকার বাতিল করেছে বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে।

এ প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস আজ বুধবার ফেসবুকে তাদের ভেরিফাইড পেজে এক পোস্টে লিখেছে ‘শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।’
এতে আরো বলা হয়েছে, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।

এদিকে মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের সংবাদটি সঠিক নয় বলে শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট  বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান টিম জানায়, গতকাল ৩ জুন মঙ্গলবার রাতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে, যাতে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই অধ্যাদেশকে কেন্দ্র করে মূলধারার বিভিন্ন পত্রিকা, নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন অনেকগুলো অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছে। ‘শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার স্বীকৃতি বাতিল’ কিংবা ‘মুজিবনগর সরকারের সব নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল’ ইত্যাদি শিরোনামে ৫০ এর অধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বাস্তবতা হলো, অধ্যাদেশে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্য এবং বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত নাগরিকগণও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবেন। অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের সংবাদটি সঠিক নয়।

বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।

ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে- দাবিতে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের যাচাইয়ে দেখা যায়, দাবিটি মিথ্যা।

ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার জানায়, ‘শেখ মুজিবসহ জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা করার খবরটি ভুয়া।’

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল ৩ জুন অধ্যাদেশটি জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ২০২২ সনের ১৫ নং আইনের প্রস্তাবনার সংশোধন আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী পরিবারের শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।’

মুক্তিযুদ্ধসহ আরও কিছু বিষয়ের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণের পাশাপাশি আগের আইনের ১০টি ধারায় বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।

গত ১৫ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তা গতকাল রাতে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

নতুন অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বলতে ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধকে’ বোঝানো হয়েছে। অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার ছাড়াও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এ মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেয়া আছে। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নেই।

উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ।’

নতুন অধ্যাদেশে নতুন সংজ্ঞায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন-‘যাহারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং ‘বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, এরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক (ওই সময়ে যাদের বয়স সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে), এবং ‘সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।’

একই সঙ্গে অধ্যাদেশের নতুন সংজ্ঞায় ‘হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীর মাধ্যমে নির্যাতিত সব নারী (বীরাঙ্গনা)’ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীরারও হবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায় যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি, তাদের ক্যাটাগরি করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কুটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে যেসব বাংলাদেশের নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন।’

সহযোগী সংজ্ঞায় নির্ধারিত পাঁচ ক্যাটাগরি করে বলা হয়েছে, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এবং যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত এবং ওই সরকারের নিয়োগ করা চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা এমপিএ, যারা পরে গণপরিষদের সদস্য গণ্য হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি মনে করি বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের যে সংশোধন করা হয়েছে, তা খারাপ কিছু না। কারণ, রণাঙ্গনে যে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করেছে তার সাথে অন্য কারোর তুলনা চলে না। মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে শহীদ হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, তাদের সাথে অন্যদের তুলনা হতে পারে না, অন্যরা সহযোগী থাকতে পারেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই। এটি আরো যুগোপযোগী হয়েছে।’

সূত্র: বাসস

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS