বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই নন রাবি ছাত্রলীগ সম্পাদক গালিব
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।
তবে প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হলেও টপকাতে পারেননি দ্বিতীয় বর্ষ। ড্রপ আউট হয়ে ছাত্রত্ব হারান তিনি।
এরপর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রির ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে ভর্তির আবেদন করেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্নাতকের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জুলাই ২০২১ সেশনের ছাত্র (আইডি নম্বর: ২৩১০০৪৬২১০) হিসেবে ভর্তির আবেদন করেছিলেন।
তবে তার জমাকৃত অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয়টি যাচাইপূর্বক ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জরুরি সভায় ভর্তি বাতিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদে’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। যা আংশিক ও অসম্পূর্ণ তথ্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন হওয়ার আগ থেকে তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের ছাত্র বলে দাবি করতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। এরপর বিভাগের ভুয়া ছাত্রত্বের পরিচয় দিয়ে বাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পাই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে আমাদের বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থী বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তার অনার্সের সার্টিফিকেটে অসঙ্গতি থাকার কারণে তাকে বিভাগে ভর্তি নেয়া হয়নি। এ বিষয়টি সকলকে জানাতে এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।