ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৩:২১ পূর্বাহ্ন

পদ্মায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৩ শিশুর প্রাণহানি

  • আপডেট: Saturday, April 20, 2024 - 9:35 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর উপজেলা বাঘায় মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে পদ্মা নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় টিনের ডিঙি নৌকা ডুবে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।

নিখোঁজ কিশোরের নাম আসাদ হোসেন (১৮)। আসাদ হোসেন উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর চরের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। ডিঙি নৌকা নিয়ে সে গতকাল দুপুরে পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তার অপেক্ষায় স্বজনরা এখনো চরাঞ্চল পেরিয়ে সেই পদ্মাপাড়েই অবস্থান করছেন।

বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার দেওয়ান বলেন, স্থানীয় জেলেরা নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধার করতে না পারায় বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে। ডুবুরি দলটি ঘটনাস্থলে এলে উদ্ধার কাজ আবারও শুরু হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদরদপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আবু সামা বলেন, পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর ডুবে গেছে। তার নিখোঁজের খবর পেয়েই ডুবুরি দলকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পৌঁছেই তারা তাকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালানা করবেন।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাঘার পদ্মা নদীর মুশিদপুর এলাকার খেয়াঘাটে অদূরে ডুবে মারা যায় উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ১০ বছরের ছেলে সিয়াম হোসেন সজীব।

তার আগে গত রোববার (১৪ এপ্রিল) মানিকের চর এলাকার পদ্মায় গোসল করতে নেমে আট বছরের শিশু জান্নাত খাতুন ও ১২ বছরের শিশু ঝিলিক খাতুন মারা যায়। তবে পর দিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) জান্নাত খাতুনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও ঝিলিক খাতুন এখনো নিখোঁজ আছে।

জান্নাত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মণ্ডলের মেয়ে। আর ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। জান্নাত খাতুন ও ঝিলিক খাতুন পরস্পর ফুপাতো মামাতো বোন। তারা মানিকের চরের আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের বিয়ে অনুষ্ঠানে এসে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়।

সোনালী/জেআর