ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ১:৪৫ অপরাহ্ন

পোরশার বিএসএফ এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবকের লাশ ফেরত

  • আপডেট: Thursday, March 28, 2024 - 1:20 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক: নওগাঁর পোরশা নিতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল-আমিন (৩৮) এর লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ কতৃপক্ষ।

বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে ১৬ বিজিবি হাঁপানিয়া বিওপি সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ সদস্য ও বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশ পৌঁছে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাঁপানিয়া বিওপি’র নায়েক সুবেদার আবু তালেব।

তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে কৃষ্ণসদা সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এসময় পোরশা ও সাপাহার থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রীজ নামক স্থনে পৌঁছলে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করেন।

এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের পর লাশ ফেরত দিয়েছে। নিহতের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন ছিল। নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, তার জানামতে আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়া করতেন। তিনি টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে গরু নিয়ে আসতেন। হঠাৎ মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান বলে তিনি শুনেছেন।

সোনালী/ সা