বিএনপি-জামায়াতের ৮৪১ নেতাকর্মী কারাগারে
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশের দিনের আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় তাদের ৮৪১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের হাজির করা হয়। আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন থানা থেকে মোট ৬৪৬ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
এর মধ্যে কদমতলী থানার ৯, শ্যামপুর থানার ২১, উত্তরা পশ্চিম থানার ৩, ধানমন্ডি থানার ৮, হাজারীবাগ থানার ৬, বিমানবন্দর থানার ১, দক্ষিণখান থানার ৭, কামরাঙ্গীরচর থানার ৪, লালবাগ থানার ৬, বনানী থানার ৮, বাড্ডা থানার ৬, ভাটারা থানার ৮, শাহ আলী থানার ১, দারুসসালাম থানার ২৪, শাহজাহানপুর থানার ২৬, মতিঝিল থানার ৬, পল্টন থানার ১৮৪, শাহবাগ থানার ২, রমনা থানার ১, রামপুরা থানার ১, সবুজবাগ থানার ৮, কলাবাগান থানার ৩, খিলক্ষেত থানার ১, ওয়ারী থানার ২১, গেন্ডারিয়া থানার ১৫, আদাবর থানার ৭, মোহাম্মদপুর থানার ৭, হাতিরঝিল থানার ৫৩, তেজগাঁও থানার ১, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ১, পল্লবী থানার ২৩, কাফরুল থানার ৭, মিরপুর থানার ৬৬, শেরে বাংলানগর থানার ১, মুগদা থানার ৪, খিলগাও থানার ১২, যাত্রাবাড়ী থানার ৫৭, ডেমরা থানার ২৭ জনকে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৪ ধারায় আটক ১৭৮ জনকে আটক করে এদিন একই আদালতে হাজির করা হয়।
অপরদিকে ঢাকা জেলার আওতাধীন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ৯, সাভার থানার ১, ধামরাই থানার ২ ও আশুলিয়া ৫ জনকে এদিন সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ এসব নেতাকর্মীর পক্ষে জামিন শুনানির সুযোগ পর্যায়ের দেওয়া হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, আইনানুযায়ী প্রত্যেকের জামিন শুনানির অধিকার সব অভিযুক্ত ব্যক্তির আছে। কিন্তু ওকালতনামায় সই নেওয়ার সুযোগ না দিয়েই অনেককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। যা ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার পরিপন্থি।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এরপর রোববার (২৯ অক্টোবর) হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। অপরদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একই দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী।