জাতীয় ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি
অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে নির্বাচনী বিধির সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনে প্রয়োজন হবে ৯ লাখের বেশি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা; তাদের প্রশিক্ষণের ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ।
আর ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ হবে তফসিল ঘোষণার পর। এদিকে এবার সংসদ নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে প্রার্থীদের উৎসাহ দেবে কমিশন। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগেই যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা, প্যানেল প্রস্তুত নির্দেশিকা ও ভোটের সময় মাঠ কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ভাতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন’ এর খসড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে সিইসি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সমান সুযোগ সুবিধাই পাবেন; আর কমিশনাররা পাবেন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ-সুবিধা।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সকালে কয়েকটি আলোচ্য বিষয় নিয়ে সভা হয়।
গতকাল কমিশন সভা শেষে ইসির এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান সচিব মো. জাহাংগীর আলম। পরে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই এনআইডি সেবা দেওয়ার আশা করছি।
বলেন, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে পারব। ব্রিফিংয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও এনআইডি উইং মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর ও যুগ্ম সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলে উৎসাহ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলে উৎসাহিত করবে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিব বলেন বিধিমালায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ফরমে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
বিচারপতিদের সমান সুবিধা পাবে ইসি, আইনের খসড়া অনুমোদন : নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, সোমবারের কমিশন সভায় ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন’ এর খসড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট সরকারি নির্দেশনার আলোকে মামলার রায় মেনে সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স ও আইনগুলো বাংলায় করা হবে।
এ জন্য ১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্সটি বাংলায় অনুবাদ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সভায় বর্তমান ইসি ২০২৩ সালের এ খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এখন ইসি সচিবালয় তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সেখানে ভেটিংয়ের পর মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়ে সংসদে যাবে। এ খসড়ায় কোনো পরিবর্তন হয়নি, শুধু বাংলায় হবে, সালগুলো পরিবর্তন হয়ে ২০২৩ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, সিইসি ও ইসির বিদ্যমান সুবিধাদি একই থাকছে। সিইসি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সমান সুযোগ সুবিধাই পাবেন; আর কমিশনাররা পাবেন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ সুবিধা। কমিশন সভায় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা, প্যানেল প্রস্তুত নির্দেশিকা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সূচি ও ভোটের সময় মাঠ কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ভাতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোনালী/জেআর