রাজশাহীতে ঈদের জামাতে সম্প্রীতির আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার: আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানির মাধ্যমে পদ্মা পাড়ের নগরী রাজশাহীতেও পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী।
নামাজ শেষে দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়, সন্ত্রাসবাদ পরিহারের।
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় সাধ্যমতো পশু কোরবানি করেন রাজশাহীর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এদিকে, সকাল ৮টায় নগরীর ভাটাপাড়া লক্ষ্ণীপুর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। নামাজ শেষে তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
দেশ ও জাতির স্বার্থে সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, পবিত্র ইসলাম আমাদের শান্তি ও সৌহার্দ্যের শিক্ষা দেয়। ইসলামে হিংসা ও সংঘাতের কোন জায়গা নেই। তাই পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রকৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা উচিত।
এ সময় স্থানীয় মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করার জন্য ভাটাপাড়া লক্ষ্ণীপুর ঈদগাহ ময়দানের অবকাঠামো উন্নয়নে থোক বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। একইসঙ্গে ভাটাপাড়া ঈদগাহ’র পাশ্ববর্তী কবরস্থানের উন্নয়নেও বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
অপরদিকে, সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এছাড়াও সেখানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন। পরে তারা পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এবার প্রায় ৫০টি এবং ৯ উপজেলায় আরও প্রায় ৩৫০টি ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই সব এলাকায় ঈদের এ জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে এবার কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কাউকে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ, ভারী বস্তু বা অন্য কোনো দ্রব্যাদি বহন করতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়া ঈদুল আজহার নামাজকে ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজশাহী মহানগরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ঈদ উদযাপন শুরু হয়েছে।
সোনালী/জেআর