ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১:৩৩ পূর্বাহ্ন

ভারতে নতুন পার্লামেন্ট ভবন

  • আপডেট: Monday, May 29, 2023 - 1:15 am

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বিতর্কের জের ধরে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান বর্জন করেছে ১৯টি বিরোধী দল।

প্রেসিডেন্টকে নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করতে না বলায় মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন এসব দলের নেতারা।

হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রবক্তা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মবার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো।

অন্যদিকে বিরোধীদের এই বয়কটকে ‘গণতন্ত্রের অসম্মান’ বলে অভিহিত করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি। গতকাল সকালে উদ্বোধনের সময় নতুন পার্লামেন্ট ভবনে স্বর্ণদন্ড ‘সেঙ্গল’ স্থাপন করেন মোদি। বেদমন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে স্পিকারের আসনের পাশে বিশেষ এই দন্ডটি স্থাপন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় পার্লামেন্টের স্পিকার ওম বিড়লা।

এরপরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে মোদি ৭৫ রুপির একটি মুদ্রাও মুক্ত করেন।

উল্লেখ্য, নতুন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার নকশা করা হয়েছে ভারতের জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে। ঔপনিবেশিক আমলের পুরনো পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ৯৭০ কোটি রুপি ব্যয়ে ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ত্রিভুজাকৃতির চারতলা এই নতুন পার্লামেন্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

নতুন পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের তিনটি প্রধান ফটক আছে। সেগুলোর নাম জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার ও কর্ম দ্বার। নতুন লোকসভা হলে ৮৮৮টি আসন আছে, তবে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন চলার সময় নিম্নকক্ষের এই হলে ১২৭২ জন সদস্য বসতে পারবেন।

এই নিম্নকক্ষের নকশা করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে। গত বুধবার কংগ্রেসসহ ১৯টি বিরোধী দল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ‘সম্মিলিত সিদ্ধান্ত’ জানিয়ে দেয়।

কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলটির অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, পার্লামেন্টের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভবনটি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে উদ্বোধন করানো উচিত ছিল।

কংগ্রেসের এমপি জয়রাম রমেশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সাভারকরের জন্মবার্ষিকীর দিনে করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘এমন এক মানুষের জন্মবার্ষিকীর দিনে অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছে, যিনি সারাজীবন প্রবলভাবে মহাত্মা গান্ধীর বিরোধিতা করে গেছেন। ’

সোনালী/জেআর