ঢাকা | মে ২৩, ২০২৫ - ৬:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে মার্কিন বন্দুক প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে মেক্সিকোর দায়েরকৃত মামলার শুনানি হবে

  • আপডেট: Tuesday, March 4, 2025 - 1:37 pm

অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার মেক্সিকোর দায়ের করা ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি মামলার শুনানি হবে। এই মামলায় আমেরিকান বন্দুক প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার এবং সহিংসতায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন এবং মার্কিন বন্দুক পরিবেশক ইন্টারস্টেট আর্মস মেক্সিকান সরকারের মামলাটি খারিজ করার দাবি জানিয়েছেন। মামলাটি ২০২১ সাল থেকে মার্কিন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

গত ২০২২ সালে একজন ফেডারেল বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন এবং বলেন যে মেক্সিকোর দাবিগুলো অস্ত্র আইনে আইনসম্মত বাণিজ্য সুরক্ষা আইন বা দ্য প্রোটেকশন অফ লফুল কমার্স ইন আর্মস অ্যাক্ট  (পিএলসিএএ) কর্তৃক মার্কিন আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারকদের দেওয়া ব্যাপক সুরক্ষা অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০০৫ সালে কংগ্রেস কর্তৃক পাস হওয়া পিএলসিএএ বন্দুক নির্মাতাদের তাদের পণ্যের অপব্যবহারকারী অপরাধীদের দায়বদ্ধতা থেকে রক্ষা করে।

একটি আপিল আদালত আইনের ব্যতিক্রম উল্লেখ করে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে এবং স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন এবং ইন্টারস্টেট আর্মস সুপ্রিম কোর্টের কাছ এই মামলা থেকে পরিত্রাণ চেয়েছে।

মাদক পাচার রোধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে থাকা মেক্সিকো তাদের মামলায় স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন এবং অন্যান্য মার্কিন বন্দুক নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ’অবহেলাপূর্ণ এবং অবৈধ’ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে যা মাদক কার্টেল সহিংসতাকে ইন্ধন জোগায়।

’মেক্সিকো কেবল মেক্সিকোতে অবৈধভাবে বন্দুকের প্রবাহ বন্ধ করতে চায়,’ দেশটির সরকারের আইনজীবীরা মামলার সংক্ষিপ্তসারে এ কথা বলেছেন। এই মামলায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, এই মামলাটি ’আমেরিকানদের অস্ত্র বহনের অধিকার নিয়ে বিতর্কের মঞ্চ নয়’, যা আমেরিকানদের বন্দুক মালিকানার অধিকার রক্ষা করে।
স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন এবং ইন্টারস্টেট আর্মসের আইনজীবীরা বলেছেন যে কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্যের অপব্যবহারের জন্য দায়ী করা যায় না।

তারা বলেন, ‘যখন কোনও কোম্পানি বাজারে বৈধ পণ্য সরবরাহের জন্য নিয়মিত ব্যবসায়িক অনুশীলনে লিপ্ত হয়, তখন সেই পণ্যগুলোর সাথে সম্পর্কিত অপরাধের জন্য এটি দায়ী নয়,’। ‘যারা পণ্যের অপব্যবহার করে তাদের যেকোনো অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়বদ্ধতা সেই অপরাধীদের নিজেদের উপর বর্তায়।

মেক্সিকান সরকার দাবি করে যে মেক্সিকোতে অপরাধস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের ৭০-৯০ শতাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাচার করা হয়েছে এবং প্রতি বছর ২ লাখ থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন তৈরি অস্ত্র সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়।

মেক্সিকো আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে আইনত এগুলো পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৬ সালে সরকার পাচার রোধে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে মেক্সিকোতে মাদক সংক্রান্ত সহিংসতায় প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

সূত্র: বাসস

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS