টেবিল টেনিসে দেশসেরা দুর্গাপুরের বুলবুলি ও রাব্বি সংবর্ধনা দিলেন ইউএনও

মিজান মাহী, দুর্গাপুর থেকে: ৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বালক ও বালিকাদের টেবিল টেনিসে দেশসেরা হয়েছে রাজশাহীর দুর্গাপুরের বুলবুলি খাতুন ও রাব্বি হাসান। বুলবুলি নবম শ্রেণি ও রাব্বি দশম শ্রেণি শিক্ষার্থী। তাঁরা দুজনই উপজেলার আমগাছী সাহারবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বুলবুলি ও রাব্বি ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও অঞ্চল পেরিয়ে টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় সেরার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন বুলবুলি ও রাব্বি।
তার হাতে ট্রফি তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে দেশসেরা হওয়ার পর নিজ এলাকায় আসার পর থেকে বুলবুলি ও রাব্বিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এলাকার মানুষ। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিনের কার্যালয়ে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এতে ইউএনও সাবরিনা শারমিন ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষ, ক্রীড়া শিক্ষক, বুলবুলি ও রাব্বির মায়েরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার আমগাছী সাহারবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, খেলাধূলায় আমাদের স্বনাম সারাদেশে রয়েছে।
গত ২০১৮ সালেও কাবাডি প্রতিযোগিতায় আমার বিদ্যালয় দেশসেরা হয়েছিল। এবারের টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় বুলবুলি ও রাব্বি দেশসেরা হয়েছে। তাদের সাফল্যে আমরা গর্বিত।
আমগাছী সাহারবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়াশিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, কঠোর অনুশীলন ও একাগ্রতা বুলবুলি ও রাব্বিকে সাফল্যের শেষ চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই টেবিল টেনিস খেলাধুলার প্রতি প্রচণ্ড রকমের আগ্রহী বুলবুলি ও রাব্বি।
সব খেলাতে তারা পারদর্শী। তবে টেবিল টেনিসের প্রতি তাদের আগ্রহটা বেশি। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে তারা জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে আরও সফলতা আনবে। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বুলবুলি ও রাব্বির হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খুবই ভাল লাগছে।
এতো বড় প্রতিযোগিতায় তারা দেশসেরা হয়েছেন। তাদের এ সাফল্যে দুর্গাপুরবাসী গর্বিত। আমগাছী সাহারবানু উচ্চ বিদ্যালয় ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের প্রমাণ দিচ্ছেন। এর আগেও ওই বিদ্যালয়ে কাবাডিতে দেশসেরা হয়েছিল। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েও যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে, তাহলে অবশ্যই সেরা হওয়া যায়।