ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫ - ৫:০৭ পূর্বাহ্ন

পাবনায় বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

  • আপডেট: Sunday, February 16, 2025 - 9:22 pm

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা সদর উপজেলায় জামায়াতের এক ওয়ার্ড কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া জামায়াতের সমর্থক কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত ১০টা নাগাদ সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার তিন নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জামায়াতের নেতাদের অভিযোগ, মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এই হামলা চালিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএনপির নেতারা। পুলিশ বলেছে, জমির বিরোধ ও আধিপত্য নিয়ে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

এ ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা একটি মুদি দোকান ও একটি অটোরিকশার গ্যারেজ ভাঙচুর-লুটপাট করে।

পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর তারা স্থানীয় বাসিন্দা পাবনা পৌর জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিমেরসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

ভুক্তভোগী জামায়াতের নেতা আব্দুল্লাহ করিম অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারি, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে, তখন থানার ওসির ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এর বেশি কিছু নয়।

পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল কয়েক দিন ধরে। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।