ঢাকা | অক্টোবর ১২, ২০২৪ - ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

বৈষম্যহীন সমাজ মানেই কোরআন সুন্নাহর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা

  • আপডেট: Tuesday, September 17, 2024 - 7:22 pm

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আল্লাহ মানুষকে এবং জীনকে সৃষ্টি করেছেন কেবলমাত্র আল্লাহর গোলামী করার জন্য।

তাই যতদিন আল্লাহর গোলামী প্রতিষ্ঠা হবে না, ততদিন বৈষম্য চলবে। চলতেই থাকবে। আমাদের শিক্ষা নিতে হবে বৈষম্যহীন সমাজ মানেই কোরআন সুন্নাহর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

যতদিন কোরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত বৈষম্য চলতেই থাকবে।

গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরীর এক কনভেনশন সেন্টারে সীরাতুন্নবী (স.) উপলক্ষে ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর আদর্শ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৭১ সালে। কিন্তু এরপর থেকে যতবার যারা ক্ষমতায় এসেছেন কেউ বৈষম্য দূর করেননি। তারা (আওয়ামী লীগ) বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেরাই এমন বৈষম্য তৈরি করলো যে নিজের দলের নেতাদের ছাড়া কাউকে চাকরি দেয় না। এরচেয়ে বড় বৈষম্য আর কিছু হতে পারে না।

পুলিশের চাকরি করবে সেখানে মাদ্রাসার ছাত্রদের চাকরি দিবে না। অন্য বিরোধী দলের লোক হলে চাকরি দিবে না। পুলিশ, আর্মি অথবা বিজিবি বলেন প্রত্যেকটা জায়গায় তারা বৈষম্য তৈরি করেছে।

ইউনূস সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সংস্কার কাজ শুরু করেছেন আমরা ধন্যবাদ জানাই । কিন্তু সংস্কার করবেন কয়জন। গোটা স্টাফ যদি পোঁচে যায়, এগুলাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দিলে কি সমাজ ঠিক হবে? পঁচা লোক যেখানে দিবেন সেখানেই পঁচাবে সে।

অতএব এটা দিয়ে সমাজ পরিবর্তন হবে না। বৈষম্যহীন সমাজ হবে না। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আল্লাহর ভয় যাদের আছে তাদেরকে এখানে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে নতুন পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে। নতুন ভাবে নিয়োগ করতে হবে। তাছাড়া সমাজ পরিবর্তন হতে পারে না।

সেমিনারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আবদুল লতিফ, প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী।

এসময় ১২ পৃষ্ঠার সেমিনার প্রবন্ধ সংকলনে রাসুলুল্লাহ (সা:) এর আগমনের প্রেক্ষাপট, নাবূওয়্যাত পূর্ব জীবনে বৈষম্যহীনতা দৃষ্টান্ত , হাজরে আসওয়াত স্থাপন অনৈক্য দূরীকরণ, নাবূওয়্যাত পরবর্তী জীবনে বৈষম্যহীনতা নির্দশন, আউস ও খাজরাজ গোত্রের বিবাদ নিরসন, আনসার ও মুহাজিরদের সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব, বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের অবসান, অর্থনৈতিক বৈষম্যের ভারসাম্যে রূপান্তর, বেকারত্ব অবসান, শহিদ, পঙ্গু ও অসহায়ের প্রতি মানবিকতা, শিক্ষায় বৈষম্য পরিহার , আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে সাম্যের নীতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।