ঢাকা | মে ১৯, ২০২৪ - ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস শুরু

  • আপডেট: Monday, May 6, 2024 - 11:32 am

অনলাইন ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে বিভিন্ন ধাপে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া রোববার থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস চালু হয়েছে। এদিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল।

সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মনিং শিফটে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের মতো। আবার ডে শিফটে এই সংখ্যা ৮৫ শতাংশের মতো।

আইডিয়াল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শেখ যুগান্তরকে বলেন, ঈদের পর রোববার ক্লাসে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল। তাপমাত্রার কারণে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না এলেও তাকে কোনো চাপ দিচ্ছি না। যারা অনুপস্থিত থাকবে তাদের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। তবে তাপমাত্রার বাড়ার কারণে সকালের চেয়ে বিকালের শিফটে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একটু কম ছিল।

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজেও সকালের শিফটের চেয়ে বিকালের শিফটে উপস্থিতি কমে যায় ১০ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আ ন ম সামশুল আলম খান বলেন, অনেক দিন পর স্কুল খোলা পেয়ে সকালে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ভালো থাকলেও ডে শিফটে সংখ্যা একটু কমে যায়। তবে চলতি সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করলে বুঝা যাবে পরিস্থিতি আসলে কী।

এছাড়া রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, গভর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুল, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক কম উপস্থিতি দেখা গেছে।

রাজধানীর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সকালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ৮০ শতাংশ। তবে তাপমাত্রার কারণে বিকালে শিফটে উপস্থিতি ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের মতো। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, একদিকে তীব্র গরম আবার অন্যদিকে স্কুল খোলা ও বন্ধ নিয়ে ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। কয়েক দিন গেলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

এদিকে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছিল, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে। তবে কয়েক ঘণ্টার পর বক্তব্যটি সঠিক নয় বলে নতুন করে স্ট্যাটাস দিয়ে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়।

এ বিষয়ে ফেসবুক পেজে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে আগের স্ট্যাটাসে বলা হয়েছিল, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

 

সোনালী/ সা