ঢাকা | মে ১৩, ২০২৪ - ৬:৪২ পূর্বাহ্ন

রাণীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা বাড়লেও চিকিৎসক বাড়েনি

  • আপডেট: Tuesday, March 12, 2024 - 10:12 pm

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হলেও চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবলের অভাবে সেবা নিতে আসা রোগেীদের ব্যবস্থাপত্র দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট না থাকায় সিজারসহ সকল ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে যথাযথ সেবা না পেয়ে ভোগান্তির কবলে পরে বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়। ২০জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছে ১১জন। অন্যান্য পদেও জনবলের আভাব প্রকট।

নানা সঙ্কটের কারণে প্রায় দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সুবিধার অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন প্রান্তিক জনপদ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা তাদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৫শ’ রোগীর ভিড়ে উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলা বাসির সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হয়।

স্বাস্থ্য সেবার মান আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ইং সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ১৯ শয্যা বিশিষ্ট তিন তলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১২ইং সালের মার্চ মাসে নির্মাণকৃত ভবনটি হস্তান্তর করা হলেও প্রায় এক যুগ ধরে জনবল না বাড়ায় নানা সঙ্কটে চলছে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র। ইতি মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, রাণীনগর বাসির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হওয়ার পর ১৯৮৪ইং সালে উপজেলা সদরের পশ্চিম বালুভরা মৌজায় ৬.২৫একর জমি সরকার ক্রয় করে প্রথমে ৩১শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সঠিক ভাবে প্রদান করার লক্ষে তৎকালিন সময়ে প্রায়াত সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এমপি’র একান্ত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নত করার লক্ষ্যে তিন তলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষে ২০১২ইং সালে হস্তান্তর হলেও জনবল সঙ্কটে সেবার মান বাড়াতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে মাসে প্রায় ২হাজার রোগী অভ্যান্তরীণ চিকিৎসা সেবা পান এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. কে এইচ এম ইফতেখারুল। ফলে আন্তঃবিভাগ রোগীদের দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে। ওষুধ সঙ্কটের কারণে রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা করাতে হয়।

এতে গরিব রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধ কিনে খেতে কষ্ট সাদ্য হয়ে দাঁড়ায়। উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপরেশন থিয়েটার থাকলেও শুধু মাত্র অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট না থাকায় সকল ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এই হাসপাতালে ১২১টি পদ থাকলেও ৯৪টি পদ দিয়ে চলছে সকল ধরনের কার্যক্রম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার কেএইচ এম ইফতেখারুল আলম খান জানান, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ২০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ৯টি। ১১টি পদই শূন্য রয়েছে।

তারপরও রাণীনগর বাসির যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে আমাদের পেশাদ্বারিত্বের কোন ঘার্তি নেই। প্রয়োজনীয় অসুবিধা গুলো সমাধান করা গেলে রাণীনগরবাসী আরও ভাল স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব।

সোনালী/জেআর