ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৬:৫০ পূর্বাহ্ন

অর্থের অভাবে চোখ হারাতে বসেছে স্কুলছাত্র

  • আপডেট: Wednesday, April 6, 2022 - 11:19 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি আমবাগানে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে অর্থের অভাবে চোখ হারাতে বসেছে স্কুল ছাত্র রিমন ওরফে ইমন (১১)। সে শিবগঞ্জ পৌর চতুরপুর মহল্লার আনারুল ইসলামের ছেলে ও আলীডাঙা জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ইমন। বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ পৌর চতুরপুর মহল্লায় ইমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়- একটি কক্ষে বিছানায় শুয়ে আছে ইমন। পাশেই বসা মা শিউলি বেগম। ইমনের এখন পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু গত ১৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে ইমন ও তার ছোট ইকবাল শিবগঞ্জ স্টেডিয়াম সংলগ্ন পশ্চিম দিকের আমবাগানে গাছের পাতা ও ডালপালা কুড়াতে যায়। এ সময় রিমন একটি পরিত্যক্ত ককটেল দেখে পা দিয়ে চালানোর চেষ্টা করলে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়। এতে রিমনের বাম চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত ইকবালকে দেয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা।

কিন্তু ইমনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। টানা ৫দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসে সে। ইমনের মা শিউলি বেগম জানান, ছেলে চিকিৎসার জন্য বাড়ির ৪টি ছাগল বিক্রি করা হয়। একই সাথে আশেপাশের লোকজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা কর্জ নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করানো হয়।

চিকিৎসকরা বলেছেন, এক মাস পর আবার ছেলেকে দেখিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তিন মাস পর ছেলের অপারেশন করা হবে। স্বামী একজন ভ্যান চালক। মাঝে মধ্যে তাঁত শিল্পের কাজ করে কোন মতে সংসার চলে। কিন্তু ছেলে চিকিৎসা করাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন স্কুলছাত্রের মা-বাবা। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আজিজুল ইসলাম জানান, যদি পরিবার সহযোগিতা চান, তাহলে সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।

তবে শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহতের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামে আওয়ামীলীগের দু’টি গ্রুপের সমাবেশ একই স্থানে আহবান করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখানে ১৪৪ ধারা জারী করে।