ঢাকা | জুন ২৬, ২০২৫ - ১:৩৬ পূর্বাহ্ন

হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামের বিকল্প আনছে রাশিয়া

  • আপডেট: Wednesday, June 25, 2025 - 4:19 pm

অনলাইন ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার একটি নতুন আইন স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে সরকার-সমর্থিত একটি মেসেজিং অ্যাপ তৈরি করা হবে। এই অ্যাপ সরকারি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো বিদেশি প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।

রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই তথাকথিত ‘ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজস্ব প্রযুক্তি ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে জোর দিয়ে আসছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের পর অনেক পশ্চিমা প্রযুক্তি কোম্পানি রাশিয়া থেকে সরে যাওয়ায়, নিজস্ব প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা এখন মস্কোর জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রুশ আইনপ্রণেতারা দাবি করছেন, নতুন রাষ্ট্রীয় অ্যাপটিতে এমন সব ফিচার থাকবে যা টেলিগ্রাম কিংবা মেটা প্ল্যাটফর্মসের হোয়াটসঅ্যাপে নেই।

তবে সমালোচকদের মতে, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এমন একটি অ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে।

রাশিয়ার ডিজিটাল অধিকার সংস্থা ইন্টারনেট প্রোটেকশন সোসাইটির পরিচালক মিখাইল ক্লিমারেভ বলেছেন, রাশিয়া হয়তো হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের ইন্টারনেট গতি কমিয়ে দিতে পারে, যাতে মানুষকে নতুন রাষ্ট্রীয় অ্যাপে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা যায়।

এদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাউসের সব কর্মীদের পাঠানো এক স্মারকে বলা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা দপ্তর হোয়াটসঅ্যাপকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, কারণ এটি কীভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য রক্ষা করে সে বিষয়ে স্বচ্ছতা নেই, ডেটা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এনক্রিপশন নেই এবং এর ব্যবহারে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকতে পারে।

স্মারকে হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে মাইক্রোসফটের টিমস, অ্যামাজনের উইকার, সিগনাল, অ্যাপলের আইমেসেজ এবং ফেসটাইম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মেটা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, হোয়াটসঅ্যাপ অন্যান্য অনুমোদিত অ্যাপগুলোর তুলনায় অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ইসরাইলি স্পাইওয়্যার কোম্পানি প্যারাগন সলিউশনস তাদের বহু ব্যবহারকারীকে, যার মধ্যে সাংবাদিক ও সিভিল সোসাইটির সদস্যরাও রয়েছেন, নজরদারির জন্য টার্গেট করেছে।

নতুন রাষ্ট্রীয় মেসেজিং অ্যাপটি কবে নাগাদ চালু হবে, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই এটিকে রাশিয়ার ডিজিটাল নজরদারির আরেকটি ধাপ হিসেবে দেখছেন।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS