যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে বোমা ফেলতে বলছে ইরানিরা

অনলাইন ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে হামলার আহ্বান জানিয়েছে ইরানের রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের চ্যানেল-৩ মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত কয়েকটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে। যেগুলো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিও রয়েছে।
চ্যানেল-৩ এর উপস্থাপক মেহদি খানালীজাদেহ বলেন, ‘এটা এখন আগের চেয়ে স্পষ্ট, কেবল ইরানি জাতির জন্য নয়, বরং এ অঞ্চলের সব জনগণের জন্য সব মার্কিন নাগরিক ও সামরিক কর্মীরা এখন বৈধ লক্ষ্যবস্তু।
আমরা আলোচনা করছিলাম এবং কূটনৈতিক পথে এগোচ্ছিলাম, কিন্তু আপনি (ট্রাম্প) আপনাদের সেনাদের রক্ত ঝরিয়েছেন। ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনে ৫০ হাজার মার্কিন সৈন্যের কফিন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ’
খামেনি-সমর্থিত কেহান পত্রিকার অতি রক্ষণশীল প্রধান হোসেইন শরিয়তমাদারি লেখেন, ‘এখন আমাদের পালা, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর ওপর অবিলম্বে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করার। ’
তিনি ইরানের প্রতি কৌশলগত হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার জন্য তার দীর্ঘদিনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, তেহরানকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে জাহাজ প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে হবে।
ইরানের সংসদের অন্যতম ডানপন্থি সদস্য হামিদ রাসাইও বলেন, ইরানকে অবশ্যই সৌদি আরবে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করতে হবে।
এর আগে শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা দেন যে, তার দেশ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে। স্থাপনাগুলো হলো—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
নিন্দা জানিয়ে এ হামলাকে জঘন্য কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরান। দেশটির পারমাণবিক সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিন পারমাণবিক স্থাপনায় শক্রুর হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফেরেশন চুক্তি (এনপিটি)।