রাজশাহীতে করোনা আক্রান্তের হার ২৬ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে জুন মাসের ১৫ দিনে ৪০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায় এখন প্রতিদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তবে শুরুর দিকের চেয়ে এখন আক্রান্তের হার কম। গত ১৫ দিনে আক্রান্তের হার ২৬ শতাংশ।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, গত ৩১ মে থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। গত ১৫ দিনে সর্বনিম্ন চারটি ও সর্বোচ্চ ২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনের পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা সংক্রমন শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা শনাক্তের হার রয়েছে ২৬ শতাংশ।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএমএম রাজিউল কারিম বলেন, রাজশাহীতে বর্তমানে গত ১৫ দিনে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা শনাক্তের হার রয়েছে ২৬ শতাংশ। এক প্রশ্নের উত্তরে সিভিল সার্জন বলেন, এটি বড় কিন্ত এটি এখনো হট জোন বলা যাবে না। কেন না এটি মাত্র মেডিকেলের টেস্ট। তাই হট জোন বলা চলবে না।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে সংক্রমন শুরু হয়েছে ঈদের আগে। সব মিলিয়ে কেমন সংক্রমন হলো সেটি বুঝতে অন্তত ৭ দিন সময় লাগবে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে বলছি। তবে আশার বানী হলো রাজশাহীতে এখনো কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
এদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত আছে ২৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক-নার্সদের টিম। তবে এ বছর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
রামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘আশা করি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কিট স্বল্পতায় ভুগবে না, যদি না আবার বড় ধরনের মহামারি দেখা দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা প্রস্তুত আছি। আতঙ্কের কিছু নেই। যে দুটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, তাতে তেমন ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না।’
তবে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের কিছু সাব-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানান তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় সরকার হয়তো বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করবে। তাহলে এটা মহামারি আকারে ছড়াবে না বলে আমরা আশা করি।’
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’