ঢাকা | মে ২৩, ২০২৫ - ২:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

পদ্মার বালুমহাল দখল নিয়ে বিএনপির দুগ্রুপে সংঘর্ষ

  • আপডেট: Thursday, May 22, 2025 - 7:59 pm

অনলাইন ডেস্ক: পরস্পরবিরোধী অভিযোগের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবদমান পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর বালু মহালের দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট প্রান্তে নদীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাট বালু মহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি জানান, চপল সরদার, রিপন আলী, রাসেল হোসেন, সৈকত হোসেন, সেলিম হোসেন, লালু মিয়া ও সানাউল হক সানা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া রুবেল হোসেন নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

নৌ পুলিশ, ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও বালুমহালে কাজ করা লোকজন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া প্রান্তে বালু মহালের দখল নিয়ে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার কাকন আলী ও ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনির মধ্যে অনেকদিন ধরে বিবাদ চলছে।

এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করার সময় তিনটি বড় নৌকা ও দুটি স্পিডবোট নিয়ে বালুমহালে অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।

এ সময় নদীর মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলির ঘটনা ঘটে। এতে নদী ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলিতে ৭-৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার কাকনকে তার মোবাইলে পাওয়া যায়নি। তবে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাটের বালু মহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, বালু উত্তোলনের সময় নদীতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ব্যাপারে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার কাকন পক্ষের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদারের লোকজন এই প্রান্তের লোকজনকে বালু উত্তোলনে বাধা দিয়েছিল। মূলত সেই ঘটনার সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নদীতে বালু মহালের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদীর সীমান্ত এলাকায় নদীর মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঈশ্বরদীর লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে তার আগেই নৌকা ও স্পিডবোট নিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS