ঢাকা | অক্টোবর ৭, ২০২৪ - ৭:২৯ পূর্বাহ্ন

২০৫০ সালে দেশে করোনার চেয়ে দ্বিগুণ মৃত্যুর আশঙ্কা

  • আপডেট: Monday, April 18, 2022 - 7:53 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির চেয়ে ২০৫০ সালে দেশ বেশি সংকটে পড়বে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে। এ মন্তব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদের। তিনি বলেছেন, মাত্রাতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে ২০৫০ সালে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষ মারা যেতে পারে।

জাপানি একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য বলেন, সবার স্বার্থে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধ করতে হবে। যততত্র এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে। রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে কোনো ফার্মেসি এন্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিএসএমএমইউর উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাপানি তোমাকিই বায়ো লিটিমেটেড, তোমাকিই ইন্ডাসট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড ও ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

সাক্ষাৎকালে মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান, জাপানি প্রতিনিধি দলের পক্ষে ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মেহরুবা, তোমাকিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী ব্যবস্থাপক নাকাহার সন্তোষী, তোমাকিই বায়ো লিটিমেটের জেনারেল ম্যানেজার ইমাই জুনইয়া উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের ঐতিহ্য, পারস্পারিক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের অতীত ইতিহাস উঠে আসে। উভয় দেশের চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য বিএসএমএমইউ ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দীর্ঘকালের বন্ধুত্ব। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গী। জাপান সরকারের সহায়তায় বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের মেট্রোরেল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। গাজীপুর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় মেট্রোরেলও জাপানের সহায়তায় নির্মাণ হবে।

জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিকাল ট্রায়ালসহ নানাবিধ বিষয়ে গবেষণা সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিএসএমএমইউর সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ে জাপানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।