ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ১১:৩৭ অপরাহ্ন

হাওরে সব উড়াল সড়ক হবে

  • আপডেট: Monday, April 18, 2022 - 7:48 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। ফলে এখন থেকে হাওর অঞ্চলে যত সড়ক নির্মাণ করা হবে সবগুলোই হবে উড়াল সড়ক।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘হাওর এলাকায় আর কোনো রাস্তাঘাট করা যাবে না। তার পরিবর্তে এলিভেটেড করতে হবে। যাতে করে পানি চলাচলে বাঁধা না আসে। সিলেটের পানিটা মূলত নামে অষ্টগ্রামের দিক দিয়ে। মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রামে যে রাস্তাটা করা হয়েছে, সেটাতে কোনো এফেক্ট হলো কিনা এটাও দেখতে বলা হয়েছে। রোডস অ্যান্ড হাইওয়েকে বলেছি, এটা রিভিউ করে প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর দেড়শ থেকে দুইশ মিটার ব্রিজ করে দেয়া যায় কিনা। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশনা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। এখানে এখনও ব্রিজ আছে, তারপরেও তাদের সার্ভে করতে বলা হয়েছে।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ সড়কের কারণে পানি যদি আটকে যায় তাহলে তারা আধা কিলোমিটার বা আরেকটু লজিক্যাল ডিস্টেনসে, যদি মনে করে এই সড়কটা পানির জন্য বাঁধা তাহলে যাতে পানির ফ্লো ঠিক হয়, এ জন্য আরও পর্যাপ্ত ব্রিজ করে দেয়া যায় কিনা সেটা তারা ঠিক করবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বছরে প্রায় ৫ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। কিন্তু ১ থেকে ৬ এপ্রিল হয়েছে ১ হাজার ২শ মিলিমিটারের বেশি। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই উপর থেকে পানি চলে এসেছে। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর চাষ হয়।’

তিনি বলেন, ‘হাওরে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মোটামুটি সব ধান কাটা হয়ে যায়। হাওরে এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের প্রথমেই পানি চলে আসে, এটা আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আগামী ৮-১০ দিন যদি বৃষ্টি না হয় আশা করা যায় কোনো ক্ষতি হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে এখানে আর্লি ভ্যারাইটি সোয়িং করা যায় কিনা। যাতে করে এপ্রিল মাসের ১০-১২ তারিখের দিকেই ধান কেটে ফেলা যায়। পরিকল্পনামন্ত্রী অনুরোধ করেছেন যে বাঁধগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো ফ্রুটফুল কিনা বা কোয়ালিটি ঠিক আছে কিনা এটা দেখতে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ যে নদী নালা ও হাওরে যেখানে বেশি পলি পড়ে গেছে সেগুলোকে পুনরায় খনন করে আগামী বর্ষার আগেই প্রকল্প শুরু করে কাজ নেয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে। রিসেন্টলি একনেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, যেটি সুনামগঞ্জ থেকে আসবে সেটিও এলিভেটেড হচ্ছে। শুধু হাওর না যেসব এলাকা লো লাইন এলাকা সেগুলোতে যত সড়ক হবে সেগুলো এলিভেটেড হবে।’