খরার কবলে ঝরে পড়ছে আমের গুটি
সাইদ সাজু, তানোর থেকে: খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোরে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল ও পুকুর, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরোতাপে ঝরে পড়ছে আমের গুটি।
তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুকুর ও খালগুলো দীর্ঘদিন খনন না করায় প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপে শুকিয়ে যাচ্ছে খনন ও সংস্কার না করা খাল, বিল ও পুকুরের পানি। সেই সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপে ঝরে পড়েছে গাছের আমের গুটি। ফলে, এবছর অন্য যেকোন বছরের চেয়ে তানোরে আমের ফলন বিপর্যয় ঘটতে চলেছে।
১৫-২০ দিন আগেও যেসব গাছে উকি মারছিলো প্রচুর পরিমান আমের গুটি। সেই গাছ গুলোতেই এখন আর দেখা যাচ্ছে না আমের গুটি। প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপে আমের গুটিগুলো ঝরে পড়ায় থোকা গুলোতে আম নেই দাড়িয়ে আছে ডাটা।
গত ৭ বছরের মধ্যে রাজশাহীতে এবছরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রী। উচু ও খরা প্রবন এলাকা তানোর উপজেলায় এবছরই অন্য যেকোন বছরের চেয়ে আম ও লিচুর ফলন সব চাইতে কম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গাছে প্রচুর মুকুল দেখে আসায় বুক বেধে নতুন স্বপ্নে বিভোর হওয়া আম ও লিচু চাষীরা বর্তমানে গাছের দিকে তাকিয়ে হতাশার পাশাপাশি বুক ফাটা আর্তনাদ করছেন এবং বলছেন এবছর সব চাইতে বেশী ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। বিভিন্ন এলাকার বাগানীরা প্রচন্ড খরোতাপে গাছে গাছে পানি ও ঔষুধ স্প্রে করে গাছের আম রক্ষার চেষ্টা করেও গাছে আম আটকাতে পারছেন না। প্রচন্ড খরোতাপ ও রোদে ঝরে পড়েছে বেশীর ভাগ গাছের আমের গুটি।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর প্রচন্ড রোদ ও খরোতাপের কারনে গাছের আম ঝরে পড়া থেকে রক্ষার জন্য বাগানীদের বিভিন্ন ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শের পাশাপাশি গাছের গড়ায় পানিসহ ওষুধ ছেটানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবছর আমের ফলনের লক্ষ্য পুরন হবেনা।