ঢাকা | মার্চ ১৫, ২০২৫ - ৫:১৪ পূর্বাহ্ন

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গেল ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ

  • আপডেট: Friday, March 14, 2025 - 9:03 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি: নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর দুই মাস পর ভারতীয় নাগরিক বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে মৃতের ছোট ভাই বদ্রী রায়ের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

৪৪ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিকের নাম বিজলী কুমার রায়। তার বাড়ি ভারতের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার চাক জামাল গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত টুনা রায়।

সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী কুমার রায়কে আটক করে।

পরে তাকে শরীয়তপুর কারাগার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শ্বাসকষ্টজনিত (নিউমোনিয়া) কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।

গত ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিজলী কুমার। গত দুইমাস ধরে হাসপাতালের হিমঘরে ছিল মরদেহ।

বাঙালির বজরঙ্গি ভাইজান শামসুল হুদা খোঁজ খবর নিয়ে ভারতে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে পরিবারের কাছে বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ পাঠানোর জন্য এগিয়ে আসেন।

শামসুল হুদা মূলতঃ বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে হারিয়ে যাওয়া কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট সীমান্তের এধরনের ৫৯টি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে ৪৩টি সমস্যার সমাধান হয়েছে।

আর ভারতে পাচার হওয়া দুই বাংলাদেশী নারীকে জীবিত উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, শুক্রবার বিকালে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে মৃতের ছোট ভাই বদ্রী রায়ের কাছে সোনামসজিদ শূন্য রেখায় লাশটি হস্তান্তর করা হয়।