ঢাকা | অক্টোবর ১৮, ২০২৪ - ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

সেচের পানি নিশ্চিত করা ও ওসির প্রত্যাহার দাবি

  • আপডেট: Wednesday, April 6, 2022 - 9:01 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সেচের পানি না পেয়ে দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, দুই কৃষক পানিবঞ্চিত হয়ে ক্ষোভে কষ্টে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এটা মূলত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও সঠিক বিচার করতে হবে। বক্তারা বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচের পানি পেতে হয়রানি, অব্যবস্থাপনা ও দলীয়করণ বন্ধ এবং বিএডিসির মাধ্যমে নির্ধারিত দামে বীজ, সার, কীটনাশক এবং পানি দেওয়ারও দাবি জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন। উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাগিব আহসান মুন্না, সিপিবির চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেন, নওগাঁ জেলা কৃষক সমতির নেত্রী রেবেকা সরেন প্রমুখ।

গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মারান্ডি (৩৭) ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭) বিষপান করেন। এতে তাদের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, বিএমডিএ’র ঈশ্বরীপুর-২ গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত তাদের জমিতে পানি দিচ্ছিলেন না। তাই তারা আত্মহত্যা করেন। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে।

তবে এর আগেই ২৪ মার্চ বাড়ি থেকে অভিনাথের মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ সাদা কাগজে কৃষক অভিনাথের স্ত্রীর সই নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছিল। তখন সাখাওয়াত সামনে থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ জন্য গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে তাকে প্রত্যাহারের দাবি করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।

এ দাবিতে বুধবার দুপুরে সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেনকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে ওসির প্রত্যাহার ছাড়াও থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ গ্রহণে হয়রানি বন্ধ এবং তাদের ওপর বিভিন্ন সময় দেওয়া মাদকের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক প্রামানিক দেবু, জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গর্নেস মার্ডি, জেলার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, যুবমৈত্রীর জেলা সভাপতি মনিরুদ্দিন পান্না, আদিবাসী পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের নগর সভাপতি নকুল পাহান, আদিবাসী নেতা বিভূতিভূষণ মাহাতো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।