যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ বৃদ্ধির রেকর্ড
অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মুসলিম ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও আক্রমণ রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। এর পেছনে ছিল ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ও বছরের শেষ দিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রসন ঘিরে সৃষ্ট পক্ষপাত।
বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (অ্যাডভোকেসি গ্রুপ) কাউন্সিল অন আমেরিকান–ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সিএআইআর তিন দশক আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ নিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করতে শুরু করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৬১টি মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার অভিযোগ এসেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বছর ধরে যে তথ্য রেখেছে, তার মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে বেশি মুসলিমবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এর মধ্যে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘটেছে ৩ হাজার ৬০০ ঘটনা।
সিএআইআরের মতো একই তথ্য পাওয়া গেছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনেও। এসব প্রতিবেদনে বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া, ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার মধ্যে রয়েছে গত অক্টোবরে ইলিনয়ে ছয় বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, নভেম্বরে ভারমন্টে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন শিক্ষার্থীকে গুলি করা, টেক্সাসে গত ফেব্রুয়ারিতে এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকানকে ছুরিকাঘাতের মতো নানা ঘটনা।
সিএআইআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষের অভিযোগ কমতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত বছর তা আবার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গেছে। এর প্রধান কারণ ছিল গত অক্টোবরে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের সহিংসতার জেরে ইসলামোফোবিয়ার বিষয়টি বেড়ে যাওয়া।
সোনালী/ সা