ইফতারে এড়িয়ে চলতে হবে যেসকল খাবার
অনলাইন ডেস্ক: শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি ভোজন বিলাসেও কিন্তু এ সময়টা মানুষ বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ইফতারে মুখরোচক সব খাবারের আয়োজন থাকে। ধনী কিংবা গরিব সবারই লক্ষ্য থাকে ইফতারের সময় বিশেষ কিছু খাবার-দাবারের।
কিন্তু সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজা-পোড়া শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে জানেন না অনেকেই। আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ভাজা-পোড়া ব্যতিত ইফতারে কি খাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ইফতার মেন্যুতে সুষম খাবার রাখা উচিত।
সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর আপনাকে তরতাজা করে তুলবে। সে জন্যই হয়তো ইফতারে খেজুর খাওয়ার চল রয়েছে। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা আপনার মাংসপেশী কে করবে সচল এবং আপনাকে দেবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
গরমে সারাদিন কিছু না খেয়ে থাকার ফলে পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শরীর কে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি। সেই সঙ্গে মেন্যুতে রাখতে পারেন প্রাকৃতিক ফলের জুস। খেতে পারেন লেবুর শরবতও। বাজারের কৃত্রিম জুসের থেকে অনেক ভালো লেবুর শরবত বা ফুলের জুস।
খেজুর আর পানি বা শরবত ইফতারের কমন আইটেম। তারপরের মেন্যু আইটেম নিয়ে থাকে বিপত্তি। এরপরে সবার আগ্রহ থাকে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ বা এমন মুখরোচক আরও হরেক আইটেম। অনেকের ইফতার টেবিলে ফল থাকলেও, সেগুলোতে আগ্রহ তেমন থাকে না। কিন্তু শরীর ভালো রাখতে মেন্যুতে রাখতেই হবে কাঁচা ফল এবং সবজি।
হালিমের বদলে স্যুপ রাখুন। আমাদের দেশে ইফতারে হালিম হাওয়ার চল রয়েছে। অনেকে সপ্তাহে অন্তত একদিন মেন্যুতে হালি রাখেন। কিন্তু হালিম আপনার পেটের জন্য ক্ষতিকর। এতে থাকে ডাল এবং গরুর মাংস। এই দুই উপাদান আঁশ এবং চর্বিতে ভরপুর। তার উপর আছে বিভিন্ন রকম মশলা। যার ফলে সারাদিন রোজা রেখে হালিম খেলে শরীরের কী অবস্থা হতে পারে একটু ভেবে দেখুন। সেদিক থেকে ভেজিটেবল বা বোনলেস চিকেন স্যুপ হতে পারে বিকল্প আইটেম। কাঁচা বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট। পরিমিত পরিমাণ কাঁচা বাদাম খেয়ে দূর করা যেতে পারে সারাদিনের ক্লান্তি। এছাড়াও হজমের জন্য পেঁপে খুব উপকারী। ইফতার শেষ করার আগে খেয়ে নিতে পারেন দুই তিন পিস পেঁপে। রমজানে রোজা রাখার জন্য প্রয়োজন সুস্থতা। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ইফতার মেন্যুতে আনতে পারেন পরিবর্তন। যা বদলে দেবে আপনার খাদ্যাভ্যাস। সুস্থ রাখবে আপনার প্রতিটি দিন।
সোনালী/ সা