বিএনপির শাখা সংগঠন হয়ে গেছে টিআইবি: কাদের
সোনালী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ও তার দোসরদের একদিকে সন্ত্রাস-সহিংসতা, অন্যদিকে গুজব ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) বিএনপির ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছে। টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন হয়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। টিআইবির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এখন যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যেমন টিআইবি। ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেন হবে না এ প্রশ্নের উত্তর টিআইবির কাছে পাওয়া যাবে না। তারা জেনেশুনেই এটা করছে। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বোঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না—এর অর্থটা কী? টিআইবি বিএনপির শাখা-সংগঠন। তারা একই সুরে কথা বলে।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণ আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি দল হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। যেকোনও মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে রেকর্ড করতে চায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি নেতা মঈন খানের ‘ভাগাভাগির নির্বাচন’ মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিসের ভাগাভাগি? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনও মূল্যে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে একটা রেকর্ড আমরা দেখাতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ, কাজে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করায় আমাদেরও দায়িত্ব আছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলোকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আমাদের যেসব প্রার্থী প্রার্থিতা হারিয়েছে, আমরা কারও ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টা করিনি এবং করব না। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার ব্যবস্থা সমর্থন করছি আমরা।
সোনালী/জেআর