তফসিল ঘোষণায় নগরীতে আ’লীগের আনন্দ মিছিল
স্টাফ রির্পোটার: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশন-কে অভিনন্দন জানিয়ে ও নৌকা প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়।
আনন্দ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। আনন্দ মিছিল শেষে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আনন্দ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী গত ছয় মাস বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস অস্থির করে রেখেছিল। যারা আগুন সন্ত্রাস করে, মানুষকে হত্যা করে, জ্বালাওপোড়াও করে, দেশে নারকীয় কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা তৎপর ছিল যাতে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে ভয় পায়। নিরপেক্ষভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় আমরা নির্বাচন কমিশনকে আমরা ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই।
লিটন বলেন, আজকে যেভাবে স্বতঃস্ফূতভাবে আনন্দ মিছিল করেছি, সেভাবে নিবার্চন পর্যন্ত রাজপথ দখলে রাখতে হবে। আমরা রাজপথে আছি, থাকবো। কেউ হরতাল-অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তাদেরকে রুখে দিতে হবে। তাদেরকে রুখে দিতে আমরা প্রস্তত আছি। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কল্যাণ করেছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু টানেল সহ সারাদেশে অসংখ্য ফোরলেন, ছয়লেন রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছে। সেই সময়ে মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকতে চায় না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো এবং নির্বাচনে বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা: তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, আজিজুল আলম বেন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, মুকুল শেখ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।
সোনালী/জেআর