ঘরমুখী মানুষের ঢল, মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে গাড়ি
অনলাইন ডেস্ক: ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই ট্রেন-বাসে করে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। কমলাপুর স্টেশনে ছিলো ঘরমুখী মানুষের ঢল।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ কাটাতে ছুটছেন তারা। দিনের বেশিরভাগ ট্রেন সময়মতো ছাড়লেও দুটি ট্রেন ছাড়তে দুই ঘণ্টা দেরি হয়। এতে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ছয়টায় কমলাপুর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা থাকলেও, স্টেশনেই আসে দেড় ঘণ্টা পরে। দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। বাকি সব ট্রেন সময়মতো চললেও চীলাহাটির পথে নীলসাগর ট্রেনটি ছাড়ে দেড় ঘণ্টা পর।
সকালে কমলাপুরে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় ট্রেনে উঠতেও বেশ ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। দরজা দিয়ে উঠতে না পেরে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠেন অনেকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা কমে চাপ। তবে সব বাধা পেরিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দই মুখ্য, বলছেন যাত্রীরা।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্লাটফর্মে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে তিন ধাপে টিকিট চেক করে প্রবেশ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে, এবারের ঈদে স্বস্তিতে রেলযাত্রায় খুশি যাত্রীরা। এবারের ঈদে ৫২ জোড়া আন্তনগরসহ বিভিন্ন ট্রেনে দৈনিক দেড় লাখের বেশি যাত্রী পরিবহণ করছে রেলওয়ে।
এদিকে দুপুর থেকে মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে।কোথাও কোথাও গাড়ি চলছে ধীরগতিতে। ফলে সড়কের কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজট দেখা যাচ্ছে। এছাড়া, পশুবাহী যানবাহন ও সড়কের পাশে হাট থাকায় গাজীপুরের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই। স্বস্তিতে উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার যাত্রীরা। যানবাহনের ভিড় থাকলেও পদ্মাসেতুর কারণে স্বস্তি রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট ঘাটেও।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পার থেকে কালিহাতির হাতিয়া পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সেতুর উপরে গাড়ি বিকল হওয়ায় এবং দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে এ যানজট।
রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল। পদ্মা সেতু হওয়ার পর স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীতে ভাটা পড়লেও, ঈদ ঘিরে সড়ক-রেলের পাশাপাশি ফের প্রাণ ফিরেছে সদরঘাট এলাকায়। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের নৌ-পথে বাড়ি পৌঁছে দিতে বাড়ানো হয়েছে দৈনিক চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যাও।
বিভিন্ন পেশার মানুষের ঈদের ছুটি আগে শুরু হলেও গার্মেন্টস কারখানায় চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস ছিল মঙ্গলবার। কর্মদিবস শেষ করে মোট পাঁচদিনের ছুটিতে পরিবারে সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার দুপুরের থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও পল্টন এলাকা জুড়ে যাত্রীদের ভিড়। যাত্রীবোঝাই করে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।
বুধবার (২৮ জুন) যাত্রী চাপ আরও বাড়তে পারে। নাড়ির টানে বাড়ির পথে বের হয়ে এই ভিড়ের মুখোমুখি হলেও যাত্রীরা বলছেন-এই যাত্রা নির্বিঘ্নের।
সোনালী/জেআর