ঢাকা | নভেম্বর ২২, ২০২৪ - ৩:১৬ পূর্বাহ্ন

আমের উপকারিতা কি, কেন খাবেন, জেনে নিন আমের পুষ্টিগুণ

  • আপডেট: Thursday, May 25, 2023 - 10:00 am

অনলাইন ডেস্ক: পাকা আম ভিটামিন ‘এ’সমৃদ্ধ। আমের আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ–সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে। কাঁচা আমে ৯০ মাইক্রোগ্রাম এবং পাকা আমে ৮ হাজার ৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে।

আমের বিভিন্ন জাত আছে যেমন ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি ইত্যাদী।

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। কেবল স্বাদে মিষ্টি বা ত্বককে ভালো রাখাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টিগুণ যা শরীরকে ভালো রাখে। সারা বিশ্বে প্রায় এক হাজার প্রজাতির আম রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে হিমালয়ের আশপাশের সমতলভূমিতে এ ফলটি আবিষ্কৃত হয়েছিল।

আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখে।

ক্লিনজার হিসেবে ত্বকের উপরিভাগে কাঁচা এবং পাকা আম ব্যবহার করা যায়। আম লোমকূপ পরিষ্কার করে এবং ব্রণ দূর করে। বার্ধক্যের ছাপ রোধে আমের রস বেশ কার্যকরী। কাঁচা আমের রস, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে। ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা আম খেতে পারেন। এটি পাকা আমের থেকে অনেক ভালো। কেননা পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।

কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুপুরে খাওয়ার পর কাঁচা আম খেলে বিকেলের তন্দ্রাভাব কাটে।

লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে আম। খনিজ পদার্থ আয়রনের ভালো উৎস আম। অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে আম।

সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী। কাঁচা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খেতে পারেন। কাঁচা আম মধু দিয়ে খাওয়া পেটের কষাভাব দূর করতে সাহায্য করে। আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম। কাঁচা আম মাড়ির জন্য ভালো। দাঁতের ক্ষয় এবং রক্তপাত রোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: তবে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত আম খেতে হবে। বাজারের ফরমালিন যুক্ত আমের উপকারিতা থেকে অপকারিতাই বেশি।

সোনালী/জেআর