রাজশাহীতে পুলিশকে মারধরের মামলায় ৫ খেলোয়াড়ের জামিন
অনলাইন ডেস্ক: শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নিয়ে ফেরার সময় পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ খেলোয়াড় জামিন পেয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা হলেন- আব্দুল আল জাহিদ (১৬), ফারহানা খন্দকার (১৭), খাদিজা খাতুন (১৭) জেমী আখতার (১৪) ও বৃষ্টিমনি (১৬)।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাইনুর রহমান জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড় হওয়ায় সোমবার সকাল পর্যন্ত এই পাঁচজনকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি জামিনযোগ্য। তাছাড়া এরা শিশু এবং খেলোয়াড়। তাই আদালত তার ক্ষমতায় জামিন দিয়েছেন।
এদিকে রোববার রাতেই ছয় খেলোয়াড় ও কোচকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের নেওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন হোসেন তাদের কারাগারে পাঠান।
এর আগে রোববার দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশনে ১১ খেলোয়াড় ও তাদের কোচকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ।
যুব গেমসে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার সময় জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯) কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারি হয় খেলোয়াড়দের। এসময় তাকে ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও গলার চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন রাজিয়া সুলতানা। এ মামলায় ১১ খেলোয়াড় ও কোচকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
তবে খেলোয়াড়রা জানান, তাদের ব্যাগ ও টাকা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার সময় পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ফারহানা খন্দকারের ধাক্কা লাগে। এসময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সরি বলেন। এরপরও গোলাম কিবরিয়া তাকে চড় মারেন। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে আহত হন গোলাম কিবরিয়া। পরে রেল পুলিশ খেলোয়াড়দের থানায় এনে আটকে দেন।
ওই ১১ খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনজন ছেলে ও আটজন মেয়ে। রাতে জামিন নামঞ্জুর করায় কারাগারে পাঠানো হয় ছয়জনকে। তারা হলেন- আলী আজম (১৯), আকাশ আলী মোহন (২০), রিমি খানম (১৯), পাপিয়া সারোয়ার ওরফে পূর্ণিমা (১৯), মোছা. দিপালী (১৯) ও সাবরিনা আক্তার (১৯) এবং তাদের কোচ আহসান কবীর (৪৫)।
এই খেলোয়াড়েরা জুডো, কুস্তি, কারাতেসহ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ট্রেনে ফিরছিলেন।
সোনালী/জেআর